অনলাইন ডেস্ক:
এক কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের পাল্লা ভারী হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্যসূচকও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৫৭ পয়েন্ট।
আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫১ পয়েন্ট ও দ্বিতীয় কার্যদিবসে কমে ১০ পয়েন্ট। আর তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বাড়লেও দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে চতুর্থ কার্যদিবসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯১৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ২০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের ১২ কোটি ১৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অগ্নি সিস্টেম, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, লাভেলো আইসক্রিম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, এমারেল্ড অয়েল, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন এবং সোনালী আঁশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয় ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।