অনলাইন ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় ইউক্রেনে যুদ্ধ না বাড়ানোর জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (১০ নভেম্বর) ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডা থেকে পুতিনকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাত্র একদিন পরই এই ফোনালাপ হয়। তবে এ নিয়ে ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ফোনালাপ সম্পর্কে অবগত কয়েকজন ব্যক্তি ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, ফোনালাপে ট্রাম্প পুতিনকে ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক উপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন। পাশপাশি তিনি শিগগিরই ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ফোনালাপটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এসে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে যোগ দেন। সেখানে ইলন মাস্কও ছিলেন, যা নিয়ে অনেক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রুশ সরকার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ট্রাম্প সংঘাত নয়, শান্তি নিয়ে কথা বলছেন, যা রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প সম্ভবত ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করে দেবেন। ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেন, যা জেলেনস্কিকে অনেক কিছু স্বীকার করে নিতে বাধ্য করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধানে রাশিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হতে পারে, বিশেষত ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা এখন আর নেই।
এদিকে, ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি ও জেলেনস্কি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ৩৮ দিন পর আপনি আপনার নিয়মিত চাঁদার উৎস হারাতে চলেছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া ফোনালাপকে চমৎকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। ফোনালাপের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, ট্রাম্প সংলাপ বজায় রাখতে ও সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের আগেই তারা ইউক্রেনে যতটা সম্ভব সহায়তা পাঠাবে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাইডেন প্রশাসন এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।