বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নিজেরা বিভক্ত হলে আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হয়ে যাব: প্রধান উপদেষ্টা   * পরানগঞ্জ বাজার বালু ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম আজাদ এর গাড়ী ছিনতাই ও প্রতারনা মুলক অর্থ দাবীর অভিযোগ।   * এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল   * নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত   * ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ   * বীমা গ্রাহকরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাবেনঃ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স   * এক সালমানেই শেষ নজরুলের সারাজীবনের অর্জন   * এসবিএসি ব্যাংকের হাইব্রিড এজিএম, বিএসইসি ও বি.বি’র বিপরীত অবস্থান   * একীভূত হতে চায় না গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি   * "তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি"  

   অপরাধ-দূর্নীতি
শুদ্ধাচারের মহাগুরুর বেশে লুটেরা
  Date : 29-09-2024
Share Button

- সেই পরিচালক বোল পাল্টে নিরাপদে।
- ঠাকুর ঘরে কেরে ? আমি কলা খাই না।
- অর্থাৎ-তিনি ওই লঙ্কাণ্ডের সময় দেশের বাইরে ছিলেন বলে রব উঠিয়েছেন।
-ভরসার ঘাটতিতে তলে তলে নয়া আসীনদের ছায়া খুজছেন।

বিশেষ প্রতিবেদক:

সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএ’র বিভাগীয় পরিচালক শুদ্ধাচারের মহাগুরুর তকমায় বিগত দীর্ঘমেয়াদের লুটপাটের ঝড়ে যথেচ্ছা কুড়িছেন আম। আর সদ্য সময়ের রকমফেরে বোল পাল্টে পেছন ঢেকে ফের নিরাপদে বহাল থাকার পথ বাতলাতে হয়ে উঠেছেন মরিয়া। বিগত ২০১৮-১৯ সালের ‘বিআরটিএ’র সেই সিএনজি ‘রিপ্লেস’ ধান্ধার হোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ একটা লম্বা সময় ধরে ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক পদে বসে শুদ্ধাচারের দরবেশের লেভাসে ঘুষবাজ রক্ষনাবেক্ষন আর ওই লম্বা হস্তের খুশি-খোশাল ধান্ধায় ছিলেন স্বচ্ছন্দে বহাল। কিন্তু ইদানিং তার বোল পাল্টে নতুন ছাউনির নিচেয় আশ্রয় নিয়ে নিজেকে “ধুয়া তলসি”সাজানোর নিরব তৎপরতা নিয়ে প্রতিবেদনের এ অংশটি। আসলে শুদ্ধাচারের মহাগুরুর তকমায় বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লহ সার্কেলের ঘুষবাজদের রক্ষনাবেক্ষন ধান্ধার সাথে ওই লম্বা হাতের স্পর্শ দৃঢ় করার কৌশলী প্রয়াসে ওই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসন’র আস্থাভাজনদের অন্যতম ছিলেন। পদ পদবি বিবেচনায় ওই লম্বা হাতের নির্দেনায় যে কয়জন ওই গেল উত্তাল ঝড়েও তাকে খুশি-খোশাল ভুমিকায় তৎপর ছিলেন,তাদের মধ্যে শহীদুল্লাহ’র নাম উপরের দিকে। যা ঘিরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্রটি আরো জানায়,যদিও বেশ আগেই চতুর ও ক্ষমতাধর শহীদুল্লাহ নির্বিঘ্ন লুটপাটের ঝড়ে আম কুড়ানোর সুযোগে মালিক হয়েছেন-রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডের ,বি-ব্ল¬কের ১৩/এ/১ নম্বর সেলটেক চন্দ্রমলি¬কার আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্টের। তার রয়েছে-শ্যামলী ০২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ নম্বরস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিশাল বহুল বাড়ি। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে,দুই-দুইটা নজর কাড়া বাড়ি। যার একটির নম্বর ৪১। আর মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই চেনা ও জানা। তবে এর বাইরে তার একটা লম্বা সময় ধরে ওই লম্বা হস্তের খুশি-খোশালির বেপরোয়া লুটপাটের ঝড়ে কুড়ানো ধান্ধা টাকায় কাড়ি কাড়ি সম্পদের মালিক হওয়ার গল্পটাও নিয়ে রয়েছে-নানা কানাঘুষা। যার সন্ধান মেলাতেও এখন খুব একটা বেগ না পাওয়ার কথাও সবার মুখে মুখে। তবে বরাবরই কৌশলী শহীদুল্লাহ তার লম্বা হাতের ছোয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনসহ তার বলয়ের ক্ষমতায় সার্কেলগুলোর ঘুষবাজদের রক্ষায় প্রাপ্ত মোটা উৎকোচে সেই ‘পিঠা ভাগকারী বানর’র ভুমিকায় থেকে যেমন-নিজের অবস্থান নির্বিঘ্ন রেখেছেন,তেমনি-একটা দীর্ঘ সময় ধরে অবাধে কাড়ি কাড়ি মাল কামানোর বে-খবরটা আটকে রাখতে পারেননি। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজি’র রিপ্লেসমেন্ট’র নাম্বার ও ভাঙ্গাড়ি বিক্রিসহ হরেক ধান্ধা মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন শুদ্ধাচারের মহাগুরুরুপে বহাল তবিয়্যতে। আর এতদিন রক্ষাকবজরূপের আড়ালে‘সাখের করাত’ রূপে-ধরা, ছাড়া ও ছাড়িয়ে দেয়াসহ অভিযোগের ‘সুল’এ তুলে মোটা ধান্ধায় রয়েছেন বহাল। তাছাড়া নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তিনি জুড়িহীন।

আরো জানায়,বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই এক লম্বা হাতের ছোয়ায় শহীদুল্লাহ ‘বিআরটিএ’ ঘিরে অদৃশ্য অসীম শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছিলেন। বিআরটিএ’র সব কূটকৌশলের মাস্টার মাইন্ড বলে খ্যাত বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহ সর্বোচ্চ পদে আসীনদেরও ছিলেন-বেশ আস্থাভাজন । আর এ সুযোগে নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে তিনি নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ। যাতে সব মিলে শহীদুল্লাহ বিআরটিএ’র ‘জমিদার’ বলে পরিচিত । তার শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারের সাথে ধান্ধার সখ্যতা বরাবরের । এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির রক্ষায়ই গেল মাসে ছাত্র আন্দোলন বে-খাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে আিরটিএ’র ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধোনদাতাদের একটি অংশে মূল কয়েক হোতার পরেই পরিচালক হিসাবে তার নাম ছড়াচ্ছে। যাতে চলামান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও সবার মুখে মুখে। সদ্য বিআরটিএ’র ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এসব থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে আটতে শুরু করেছেন। ওই সেই কথা“ঠাকুর ঘরে কেরে ? আমি কলা খাই না” অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন। তাতেও ভরসাহীন হয়ে সাবেক লুটপাটের শরীকদারদের জায়গায় সম্ভাব্য নয়া আসীনদের তালে তাল মেলাতে শুরু করেছেন। বোল পাল্টে নিরাপদে বহাল হতে তলে তলে মহিয়া হয়ে উঠেছেন। যাতে মনে হচ্ছে- তিনি হেড অফিসের সেই ক্ষমতাধর এডি-এডমিনের চেয়েও ধুরন্ধর।

 



  
  সর্বশেষ
পরানগঞ্জ বাজার বালু ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম আজাদ এর গাড়ী ছিনতাই ও প্রতারনা মুলক অর্থ দাবীর অভিযোগ।
এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল
নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com