|
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটে“র কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম তুহিনের এতো সম্পদের উৎস কি? |
|
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন” প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্মকর্তা। তৌহিদুল ইসলাম তুহিন দশম গ্রেডের একজন কর্মকর্তা যার বেতন সর্বচ্চ ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা। স্ত্রী নুসরাত জাহান ঢাকার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা তার বেতন ৩০/৩৫ হাজার টাকা। দুজন মিলে প্রতিমাসে ৭০/৭৫ হাজার টাকা আয় করেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই চাকুরির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর তাহলে সর্বসাকুল্যে তাদের ১ কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আয় হয়েছে। অথচ তারা আফতাব নগরে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে। চড়েন দামি গাড়িতে, গাড়ির মূল্য প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। স্ত্রীর নুসরাত জাহান দামি গাড়িতে চড়ে স্কুলে যাতায়াত করেন, ড্রাইভার এর বেতন ও জ্বালানী খরচ হয় নূন্যতম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তৌহিদুল ইসলাম তুহিন দম্পত্তির সন্তানেরা ভালো ইস্কুলে পড়ালেখা করে তার খরচ রয়েছে আনুমানিক ১৫/২০ হাজার টাকা ,স্বামী স্ত্রী মিলে যা আয় করেন তা দিয়ে হয়তো তাদের গাড়ির ড্রাইভার এর বেতন জ্বালানী খরচ ও সন্তানদের পড়ালেখার পিছনেই ব্যয় হয়ে যায়। তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে দশম গ্রেডের চাকুরীরত তৌহিদুল ইসলাম তুহিন এতো সম্পদের মালিক হলো কি করে? এর উৎসই বা কোথায়? আমাদের অনুসন্ধান ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে আফতাবনগরে আলিশান ভবনের ১৮০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকা খরচ করে দৃষ্টিনন্দন ডেকোরেশন ও আসবাপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে। বনশ্রীর তিতাস রোডে রয়েছে ১৩০০ স্কয়ার ফিটের আরো একটি অ্যাপার্টমেন্ট। মূলত এই ফ্ল্যাটটি তিনি প্রথম দিকে কিনেছেন। পরবর্তীতে আফতাব নগরে আলিশান ফ্ল্যাট কিনে রামপুরা বনশ্রীর ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়ে দেন। তিনি আফতাব নগর সেভেন স্টার টাওয়ার এর ১০ম তলার জি/৯ ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকা থেকে তার নামটি ৪৩ নং সিরিয়ালে পাওয়া যায়। অতি সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে যৌথ ভাবে ডেভেলপার ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। আফতাবনগর এর শেষ প্রান্ত জেলা ঢাকা, থানা খিলগাঁও, মৌজার উত্তর নন্দীপাড়া-৬৪৫০ নং আমমোক্তারনামা দলিলে সি,এস ও এস,এ-৩৬৬ আর,এস-৪৯১,ঢাকা জরিপে ২৮২১ নং দাগে ০৮৯৭ অযুতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছে। এছাড়াও ৫১৯ ও ৪২২ নং আমমোক্তারনামা দলিলে যথাক্রমে ১৬০০ শতাংশ ও ০৬৩৬ অযুতাংশ সহ সর্বমোট ৩১৩৩ অযুতাংশ জমি ক্রয় করেছে। যেখানে তৌহিদুল ইসলামের নাম উল্লেখ রয়েছে। একটি হাসপাতালের দশম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা যার সর্বসাকুল্যে বেতন ৭০/৭৫ হাজার টাকার মত সে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয় ? শুধু ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিই নয় তার নামে বেনামে রয়েছে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ফিক্সট ডিপোজিট সহ নগদ অর্থ এছাড়া গ্রামের বাড়ী জয়পুরহাটে রয়েছে অগাধ সম্পত্তি এর উৎস কোথায়? তথ্যসুত্র থেকে প্রাপ্ত বক্ষব্যাধী হাসাপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে হাসপাতালের সমস্ত কেনাকাটা টেন্ডার,ঔষধক্রয় সব কিছু সিন্ডিকেটের সাথে মিলে মিশে কোটি কোটি টাকা কমিশন পেয়েছে। হাসপাতাল সুত্র থেকে জানা গেছে সমস্ত দুর্নীতির সিন্ডিকেট এর নেপথ্য নায়ক এই তৌহিদুল ইসলাম তুহিন। জুলাই বিপ্লবের পর তার প্রভাব আরো বহুগুন বেড়ে গিয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়। এছাড়া হাসপাতালের সমস্ত কাজ হয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তার নেপথ্য কলকাঠি নাড়েন প্রশাসনিক কর্মকর্তা তৌহিদুল।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান
, সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com
|
|
|
|