বর্তমানদিন প্রতিবেদক:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিসারই যদি হয় মাদক বিক্রেতাদের গডফাদার তাহলে দেশ ও জাতি এ সকল অসাধু কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি নিয়ে যাবে কার কাছে? এমন নানা নানা অভিযোগ উঠেছে মাদক ইনস্পেক্টর বদরুলের হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলায়। তার দায়িত্ব পালন এরিয়া বরগুনাতে হলেও খুলনা বিভাগের অনেক জেলায় তার রয়েছে এধরনের কর্মকান্ডের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। ফলে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে সেসব এলাকায়। খুলনার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সোহেল সিন্ডিকেটের পরিচয় বহন করে সব সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলছেন তিনি।
কথিত আছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অবৈধ টাকা উপার্জনকারী বদরুল হাসান সব সময় ডোনেশন করে আসতেন। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় তিনিবলে বেড়াতেন শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের স্নেহধন্য। যার কারণে তার সিনিয়র একাধিক অফিসারদের সাথে কখনো ভদ্র ও শালীনভাবে কথাও বলতেন না তিনি।
মাদক ইনস্পেক্টর বদরুল হাসান ইচ্ছামত চাকরী করতেন। নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক মাসকরা হিসেবে বাগিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে বলেও এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের পরিচয় বহন করে তিনি সিনিয়র অফিসারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাকরি খেয়ে ফেলবেন, বান্দরবান পোস্টিং করে দেবেন এ ধরনের হুমকি ধামকির মাধ্যমে বহু নিরীহ অফিসারের মুখ বন্ধ করে রাখা সহ তাদের মানসিক প্রেসারে রাখতেন বলে জানিয়েছেন একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর বদরুল হাসানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে ব্যস্ততা দেখিয়ে দ্রুত মুঠোফোন কেটে দেন। বিষয়টি অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, তার রয়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। নিজের নামে বড় আকারের সম্পদ না করে পরিবারের অন্য সদস্য বা আত্মীয়স্বজনের নামে করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে একাধিক ভুক্তভোগী মহল জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বদরুল’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি, এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মহল।