অনলাইন ডেস্ক
ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার (১ জুলাই) দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর বয়ফ্রেন্ড জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৪ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২২ নভেম্বর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, জিয়াউদ্দিন রাফি হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে-মধ্যে রাতযাপন করতেন। গত ১ নভেম্বর রাফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।
গত ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাফি বাসায় এসে কলিংবেল দেন। ওই বাসায় থাকা মেকআপম্যান মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রাফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান।
মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে গিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন রাফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইলফোন দুটি কৌশলে নিয়ে চলে যান। মামলার পর জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।