|
মধুখালীর সহদর হত্যাকণ্ডের আসামি ধরতে পুরস্কার ঘোষণাও ব্যর্থ! |
|
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক মধুখালী হত্যা ঘটনায় অভিযুক্ত ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো. আসাদুজ্জামান তপন এবং সদস্য অজিত বিশ্বাসের সম্পৃক্ততার যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদেরকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও এসেছে। পাশাপাশি এই দুইজনকে আত্মসমর্পণ করে আইনি সুরক্ষা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের ডিসি কামরুল আহসান তালুকদার এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, তারা এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে সময় বাড়িয়েছেন। ডিসি বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন একজন স্বভাবজাত অপরাধী। কোথায় কখন কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হয়, সেটি তিনি ভালো জানেন। তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন রেখে গেছেন। এর আগে আমরা মাগুরায় তার অবস্থান শনাক্ত করি। কিন্তু যখন তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হয়, তখন যশোরে পালিয়ে যান। এরপর যশোরেও তাকে ধরতে অভিযান চালানো হলেও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপরে হামলা ও টিসিবির কার্ড নিয়ে দুর্নীতির কারণে তপনকে দুইবার বরখাস্ত করা হয়েছিল জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “দুই বারই উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি পদ ফিরে পান। এ কারণে তার মধ্যে এক ধরনের বেপরোয়া মনোভাব তৈরি হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন, যত অপরাধই করুক না কেন, তিনি পার পেয়ে যাবেন।” গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের একটি কালী মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা হয়। স্কুলের টয়লেট নির্মাণের কাজ চলছিল। সেজন্য শ্রমিকরা সেখানে ছিলেন। সেখানে পিটুনিতে দুই শ্রমিকের প্রাণ যায়। তারা হলেন, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোপের-ঘাট গ্রামের ২১ বছর বয়সী আশরাফুল ও তার ভাই ১৫ বছর বয়সী আসাদুল। এ ঘটনায় আহত আরও পাঁচ শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের মধ্যে ঘটনার তদন্তে কমিটি করে জেলা প্রশাসন। এলাকায় বিজিবিও মোতায়েন করা হয়। ২০ এপ্রিল ধর্ম-মন্ত্রী ফরিদুল হক খান নিহত দুই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ধর্মমন্ত্রীর সফরের সময়েও চেয়ারম্যান তপনকে তার সঙ্গে দেখা যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিসি কামরুল বলেন,তার দ্বৈত ভূমিকার কারণে তাকে সেভাবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
আসামিদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই। কেউ যদি অন্যান্য আসামিদের অবস্থানও জানাতে পারেন, তাহলে তাদের উপযুক্ত পুরস্কার দেয়া হবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস
, অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন
|
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে
মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮,
০১৪০২০৩৮১৮৭
,
০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com
|
|
|
|