অনলাইন ডেস্ক:
পুলিশ ও সাংবাদিকদের পারস্পারিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বেশি থাকলে পেশাগত দায়িত্ব পালন সহজ হয় বলে মনে করেন আইজিপি। পেশাগত দায়িত্বপালনে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
একইসঙ্গে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটি বুধবার সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সদর দপ্তরের `হল অব প্রাইডে` এই সাক্ষাতে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশের সঙ্গে ক্র্যাবের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
“পরস্পর আমরা অনেক কাজও করি। নির্বাচনী ডিউটিতে পাশাপাশি কাজ করে থাকি। দায়িত্বের চেয়ে তাই পারস্পারিক প্রত্যাশাটাও আমাদের বেশি।” পুলিশপ্রধান বলেন, “বর্তমানে পুলিশের সোর্স অব ইনফরমেশন হল সাংবাদিক আর সাংবাদিকদেরও সোর্স অব ইনফরমেশন হল পুলিশ। তাই পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে যোগাযোগটা বেশি দরকার। যোগাযোগ বেশি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালন সহজ হয়।
“একটা মামলা হলে যত কিছুই বলি না কেন, সেটা পুলিশকে তদন্ত করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বলি সাংবাদিকরা এই নিউজ, ওই নিউজ না করলেও পারত। আমি মনে করি, সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়া উচিত না। কারণ তাদেরও তো এক্সসেপশনাল নিউজ প্রকাশ বা দেখাতে হয়।”
তিনি বলেন, “সাংবাদিক ও পুলিশের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম দূর করা। সেজন্য আমাদের পারস্পারিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ বেশি দরকার।” ক্র্যাবের কাছে সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যাশা রেখে আইজিপি বলেন, “অনেক জায়গায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব থাকে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে তা পছন্দ করি না। ঢাকার বাইরে কাজের সময় কখনও আমার প্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়নি। সাংবাদিক বন্ধুদের সার্বিক সহযোগিতা ও আস্থা আমি অর্জন করেছি।” ক্রাইম রিপোর্টারদের জন্য পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময়ে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, “কাজের ধরণ ও বাস্তবতার প্রেক্ষিত থেকেই পুলিশের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখতে হয় ক্রাইম রিপোর্টারদের। পুলিশও ক্রাইম রিপোর্টারদের বন্ধু মনে করে। ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্যের সঙ্গে আপনাদের ভালো সম্পর্ক ছিল।”
এবার ক্র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে আইজিপির সার্বিক সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি তিনি ক্র্যাব-আইজিপি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালুর অনুরোধ জানান।
ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে পুলিশের যে বিবর্তন হয়েছে, তাতে রয়েছে ক্রাইম রিপোর্টারদের অবদান রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, মো. মাজহারুল ইসলাম, জামিল আহমেদ, মো. আতিকুল ইসলাম, আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, ডিআইজি খন্দকার লুৎফুল কবির, এআইজি মনজুর হোসেন ও উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান।
ক্র্যাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাসুম মিজান, অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এসএম ফয়েজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাফর আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ইমু, কল্যাণ সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, জসীম উদ্দীন ও এনামুল কবীর রুপম।