খুলনা ডেস্ক:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারিত না হলেও খুলনায় নির্বাচনী উত্তাপ বেশ স্পষ্ট। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আগেভাগেই নিজেদের সংগঠন ও প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। ছয়টি আসনের সব কটিতেই তাদের উপস্থিতি এখন দৃশ্যমান।
খুলনা-১ আসনে বিএনপির পুরোনো মুখ আমীর এজাজ খানের পাশাপাশি ঢাকায় ছাত্রদলে সক্রিয় ছিলেন এমন নেতা জিয়াউর রহমান পাপুলও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তারা। অন্যদিকে খুলনা-২ আসনে সুসংগঠিত প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। ইতোমধ্যে ওয়ার্ড ও নগর পর্যায়ে দলীয় কমিটি গঠন করে নিজেকে সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থানে আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
খুলনা-৩ আসনে ২০১৮ সালের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল আবারও দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় আছেন এবং দলকে মাঠ পর্যায়ে সুসংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। খুলনা-৪ আসনে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন—আজিজুল বারী হেলাল, মোহাম্মদ পারভেজ মল্লিক ও শরীফ শাহ কামাল তাজ। এর মধ্যে হেলাল ও তাজ পূর্বে এ আসন থেকেই নির্বাচন করেছেন।
খুলনা-৫ আসনে বেশ কয়েকজন নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, তবে সম্প্রতি বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগার লবী সক্রিয়ভাবে মাঠে নেমেছেন। তার দাবি, দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশে তিনি নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। খুলনা-৬ আসনেও একাধিক নেতার মনোনয়নপ্রত্যাশা রয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন, জেলা বিএনপির মনিরুজ্জামান মন্টু এবং জিয়া ফাউন্ডেশনের আমিরুল ইসলাম কাগজীসহ আরও কয়েকজন।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর তৎপরতা শুরু হয়েছে আরও আগেই। ফেব্রুয়ারিতে তারা ছয়টি আসনেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে। খুলনা-৫ ও ৬ আসনে দলটির কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রীয় আমিরের উপস্থিতিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি আসনের প্রার্থী এলাকায় সংগঠন বিস্তারের পাশাপাশি জনসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন নিয়মিত। তাদের মতে, তারা জনগণের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন।
বাকি রাজনৈতিক দলগুলো এখনও মাঠে কার্যত অনুপস্থিত। জাতীয় পার্টি, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ বা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—তাদের কেউই দৃশ্যমান কোনো প্রচারণা শুরু করেনি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা বললেও এখনো তাদের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়নি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই চিত্র কতটা বদলায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।