শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সুন্দরবনে চোরা শিকারের অভিযান ভেস্তে গেল, ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ   * এক রাতেই দুই খামারে ভয়াবহ ধ্বংস: লাখো টাকার মাছ ও মুরগির বাচ্চা নিধন   * কলাবাগান থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার   * বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন করলেন মেয়ে   * ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ   * যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য   * দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে   * চট্টগ্রামে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার   * আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে মিরাজ  

   আন্তর্জাতিক
ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ
  Date : 07-05-2025
Share Button

অনলাইন ডেস্ক:

এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। এরআগে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তারপর থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ হয়। তারমধ্যে সব যুদ্ধই কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে।

কাশ্মীর যুদ্ধ: ১৯৪৭-৪৮ সালে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একে কাশ্মীর যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ মূলত কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সে সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চল দুটির ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

কচ্ছ যুদ্ধ: ১৯৫৬ সালে দ্বন্দ্বটির সূচনা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীরা ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পাহারা দিতে শুরু করে। ১৯৬৫ সালের ৮ এপ্রিল উভয় দেশই ‘কচ্ছ’ অঞ্চলে একে অপরের সীমান্ত চৌকির ওপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে শুধু উভয় দেশের সীমান্ত পুলিশরা এ সংঘর্ষে জড়িত হয়। পরে খুব দ্রুত উভয় দেশের সশস্ত্রবাহিনীও জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৫ সালের জুনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন দেশ দু’টিকে সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি করান। তিনি বিরোধটির নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। ১৯৬৮ সালে ট্রাইব্যুনালের রায়ে পাকিস্তান দাবিকৃত ৩,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি লাভ করে।

কার্গিল যুদ্ধ: ১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এ যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। যুদ্ধ চলাকালীন ও যুদ্ধের পরে পাকিস্তান এ যুদ্ধের দায় সম্পূর্ণ কাশ্মীরি স্বাধীনতাপন্থী জঙ্গিদের ওপর চাপিয়ে দেয়। তবে ফেলে যাওয়া তথ্য-প্রমাণ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট জানা যায়, পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীও এ যুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। শেষে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সমর্থনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানকে ফৌজ প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়।

পুলওয়ামা সংকট: ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়েছে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। যা ক্রমশই যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামা উপত্যকায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলায় একসঙ্গে ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। যার ফলে ভারতও পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই হামলা-পাল্টা হামলাই এখন মোড় নিচ্ছে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে।

পহেলগাম হামলা ৭ মে, ২০২৫

সবশেষ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পহেলগামে ২৬ পর্যটককে হত্যার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিমান হামলা চালালো ভারত। এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।



  
  সর্বশেষ
বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো
ট্রান্সশিপমেন্টের বাইরে: ভারতের মাধ্যমে রপ্তানি কার্গোর প্রকৃত কারণগুলো খতিয়ে দেখা
কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ভয়ানক অনিয়ম
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন চান পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com