নারায়নগঞ্জ সংবাদদাতা:
কাজের কথা বলে ঘুষ নিয়ে তা করার পর ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মামলা ও হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ইমানুর নামক একজন এসআই’র বিরুদ্ধে। হাসান মাসুদ রানা নামক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে এই ঘুষের টাকা নেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নারায়নগঞ্জের এসপি’র কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর ভুক্তভোগীর বিষয়টি নিয়ে এসআই’র ক্ষমতার দাপটের কাছে পুলিশ সুপার পর্যন্ত অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে কেউকেউ বলছেন, ঘুষ বাণিজ্যে নামে বেনামে তিনি বিশাল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন কিনা দুদক সঠিক তদন্ত করলেই হয়তো সেটিও বেরিয়ে আসবে।
অভিযোগকারী হাসান মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জের প্রভাবশালী এসআই পরিচয় দিয়ে এসআই ইমানুর একটি কাজ করে দেওয়ার জন্যে নগদ ৭০০০০ (সত্তুর হাজার) টাকা ঘুষ নিয়ে তার সেই কাজ না করে বরং উল্টোটা করেছেন। এতে মাসুদরানা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি জানান, আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিপক্ষ গ্রুপের পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে এসআই ইমানুর তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান, মানসিক হয়রানী ও হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন বলে হাসান মাসুদ রানা জানান ।
এর বিচার চেয়ে হাসান মাসুদ রানা গত ১৭.১২.২৪ তারিখে ইমানুরের বিরুদ্ধে এসপি নারায়নগঞ্জ এর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের অনুলিপি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরও প্রেরণ করেন তিনি। অভিযোগের প্্েরক্ষিতে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ অফিস থেকে ফতুল্লা মডেল থানা মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুদের কাছে হাসান মাসুদ রানাকে ০৯.০১.২০২৫ তারিখে স্বাক্ষীসহ হাজির হতে বলেন। কিন্তু ফতুল্লা থানা থেকে দাখিলকারী এএসআই মো: শফিকুল ইসলাম চিঠি ৭.০১.২০২৫ তারিখে গ্রহণ করেও মাসুদ রানাকে ১২.০১.২৫ তারিখে প্রদান করেন। পরবর্তীতে হাসান মাসুদ রানা বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ কোর্টে ৪০৬/২০/৫০৬ ধারায় ইমানুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে জানতে নারায়নগঞ্জের এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এসআই ইমানুর বলেন, আমার বাড়ী খুলনার খালিসপুর, গোপালগঞ্জে নয়। এর আগে আমি এই থানায় ছিলাম, কর্তৃপক্ষ আমাকে আবারো এনেছেন। তিনি হাসান মাসুদ রানার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, এটি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না; তবে নারায়নগঞ্জের এসপি’র কাছে তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে করা আবেদনের বিষয়টি স্বীকার করেন। স্বাক্ষীদের নাম, জবানবন্দী, ভয়েস রেকর্ড এবং অন্যান্য বিষয়ের কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তিনি এক্ষেত্রে আইনগত স্বাস্তি মেনে নেবেন।