নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সদর শীতলক্ষ্যা হাউজিং`র হযরত আলীর ছেলে হাসান মাসুদ রানার দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় ফতুল্লা থানার এস আই ইমানুর মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাসুদ রানা। অবশ্য মাসুদ রানা এরই মধ্যে নারায়নগঞ্জের এসপি, ডিআইচজ বরাবর ইমানুরের বিরুদ্ধে এসব বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২০২১-২০২৩ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় ইমানুর(৫০) উপ-পরিদর্শক (এস, আই) হিসাবে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় শিবু মার্কেট এলাকায় জমি সংক্রান্ত জটিলতার কাজ করে দিবে বলে নারায়ণগঞ্জ সদর শীতলক্ষ্যা হাউজিং`র হাসান মাসুদ রানা নামে এক ব্যাক্তির কাছে থেকে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা নেন।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঐসময় অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ২০২৩ সালে ফতুল্লা হতে অভিযোগের কারনে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান এস আই ইমানুর।
ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী হাসান মাসুদ রানা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কাজ করে দেওয়ার কথা বলে আমার থেকে অভিযুক্ত এস আই ইমানুর ৭০ হাজার টাকা নিয়ে কাজ না করে, উপরন্তু আমার বিবাদীর নিকট হতে নানান ভাবে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং বিবাদীদের সেল্টার দেন। এতে আমি অর্থনৈতিক ক্ষতি, জমি সংক্রান্ত ক্ষতি, সম্মান হানিসহ অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হই।
পরবর্তীতে জানতে পেরে ফরিদপুর চাকুরীরত অবস্থায় আমি ইমানুর কে বারংবার আমার ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকার জন্য তাগিদ দিলে তিনি আমাকে ফরিদপুর থেকেই নানা প্রকার হুমকি প্রদান করেন।
বর্তমানে এস,আই ইমানুর আবারো সেই ফতুল্লা থানায় বদলী হয়ে এসে সেই বিবাদীগনের সাথে যোগাযোগ করে আমার ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টার পাশাপাশি আমাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে একই সাথে উক্ত ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) টাকা ফেরত চাইলে আমাকে মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেও জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার এবং ডিআইজি বরাবর গত ১৭ ডিসেম্বর ন্যায় বিচার চেয়ে উপরোক্ত টাকা উদ্ধার সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করলেও এর কোনো প্রতিকার নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান হাসান মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে কথা বলতে এসআই আমিনুরকে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি।