গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর বর্মী বাজার ও কেন্দুয়া এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের দৌরাত্বে
অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সন্ত্রাসী চক্রটি একটি দলের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি হুমকি ধুমকি দহলবাজি অত্যাচার ও খুন খারাপের ভয় দেখিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাসীরা একজন সফল ব্যবসায়ী মোঃ শিহাব মিয়ার ও বাদল চৌধুরীর পার্টনারশিপে পরিচালিত ইমি এন্টারপ্রাইজ বালু গদিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট মারধর করে ক্যাশ বাক্সের টাকা লুট, এলএডি টিভি, সিসি ক্যামেরার ডিভিআর, সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে যাওয়ার পূর্বে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে অস্ত্র উচিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
হামলার ঘটনায় শিহাব, জুয়েল সহ কয়েক জন আহত হয়। মারাত্মক আহতদের মধ্যে শিহাব ও জুয়েলকে প্রথমে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয।এই মর্মে মো: সিহাব বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের নথি থেকে জানা যায়, আফাজ উদ্দিন প্রধান এর নেতৃত্বে মামুন ফকির,এমদাদ প্রধান, নাহিদ, সেলিম, বুলবুল, শ্রাবণ, জুনায়েদ, ফরহাদ ফকির সহ অশ্রুধারী সন্ত্রাসী চক্র গত ৮/১২/২৪ তারিখ রবিবার সকাল ১১ টায় শ্রীপুর বর্মী ইউনিয়নের কেন্দুয়া এলাকায় ইমি এন্টারপ্রাইজ নামের বালু গদি ঘরে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশী- বিদেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, ক্যাশ বাক্স টাকা থেকে লুট সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পার্টনার শিহাব কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম করে এছাড়া জুয়েল সহ কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার বাদল চৌধুরী উপস্থিত না থাকায় প্রাণী বেঁচে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ইমি এন্টারপ্রাইজ সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এখানে বালুর ব্যবসা করে আসছিল। সন্ত্রাসী আফাজ উদ্দিন প্রধান রাজনৈতিক দলের ছএ ছায়ায় তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে প্রথমেই বালু ব্যবসা প্রতি কুদৃষ্টি দেয়। এখান থেকে তারা লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি সহ লুটপাট হামলা মামলা দখল সহ পুরো বালু ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। ইতোমধ্যে তারা অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছ। চাদাঁর টাকা না দেওয়ায় গত ৮ ডিসেম্বর ইমি এন্টারপ্রাইজ এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে
এলাকার মসজিদের ইমাম জানান, সন্ত্রাসী চক্রের হোতা এমদাদ প্রধান এর বিরুদ্ধে এলাকার ২০০ জনের স্বাক্ষর সম্মিলিত একটি অভিযোগ শ্রীপুর থানায় ইতোমধ্যে দায়ের করা হয়েছে । তিনি জানান ইমি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার বাদল চৌধুরী ও মো সিহাব সুনামধন্য ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে সৎভাবে বালু ব্যবসা করে আসছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, বাদল চৌধুরী ও মো: সিহাব ছাত্রদলের নেতা হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ এর আন্দোলনে সক্রিয় আংশ গ্রহণ করেন।
তিনি বিএনপির সংগঠনের সাথে জড়িত থাকায তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করেন। এই মামলা হামলা অত্যাচার মাথায় নিয়ে একসময় দেশে থাকতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জামায়। এরপরে দেশে এসে সফলভাবে বালু ব্যবসা করে আসছিলেন।
আরো জানা যায়, বাদল চৌধুরীর বড় ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা হলেও তিনি ক্ষমতা না দেখে সকলের সাথে বিনয়ের সাথে মিলেমিশে চলেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে তার সুনাম রয়েছে।
সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মো: বাদল চৌধুরী বলেন , আমি একজন সফল ব্যবসায়ী।আমার বাবা একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। আমি সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি । কিছুদিন পূর্বে একটি বালুর গদি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে একটি বালুর গদি ক্রয় করে ইমি এন্টারপ্রাইজ এর নামে পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু সন্ত্রাসী চক্ররা ব্যবসা করতে বাধা সৃষ্টি করছে। ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দেওয়ার কারণে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে,। দোকানে হামলা লুটপাট ও মারধর করেছে। অভিযোগ করেছে। এছাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।