অনলাইন ডেস্ক:
দুই বছরের (২০১৫ ও ২০১৬) বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়াসহ বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন সারা দেশের ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবদ্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী— ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫৫টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পেয়ে আসছে। পরবর্তী সময়ে এর সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতন ভাতা পেয়ে আসছেন।
নীতিমালায় উল্লেখ আছে যে, সময়ে সময়ে বেতন স্কেল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এর সুবিধা পাবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর হলেও সরকার আমাদের জন্য ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর করেছে। ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ মোট ২ বছরের বকেয়া বেতন আমাদের এখনও দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন ভাতা আমরা এখনও পাইনি।
তারা আরও বলেন, ধারা অনুযায়ী আমরা সরকারি সব সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু আমরা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের প্রাপ্য অধিকারগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পরেও অধিকার বাস্তবায়ন হয়নি। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী খালি হাতে অবসর গ্রহণ করেছেন এবং অনেক শিক্ষা-কর্মচারী মৃত্যবরণও করেছেন।
এসময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিএসএড পাস করা শিক্ষকদের তাদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্প্রতি জমাকৃত সিপিএফ-এর টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে ফেরতপূর্বক পূর্বের ন্যায় প্রেরণ করতে হবে। ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে। ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি প্রদান করতে হবে এবং শূন্য পদে ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দিতে হবে। পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, বেতন বৈষম্য দূরকরণসহ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাবাস্তবায়ন করতে হবে।