দিলীপ গোয়ালা, ময়মনসিংহ: (১ম পর্ব)
লেজুড় বৃত্তি, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি কাজে উন্নয়ন না দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে কৌশলে উন্নয়নের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা -প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী মন্তুস কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। এই প্রবণতায় পিআইওর যোগসাজসে এবং এসব কাজ নির্ধিদায় চালিয়ে আসছেন তিনি। সেখানে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার কোন ভূমিকা নেই। ধরাকে সরা জ্ঞানে করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের পিছনে খোদ অফিসেই সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে।
প্রকৌশলী মন্তুস কুমার মন্ডলের নিজস্ব কথিত মিডিয়াকর্মী নামধারীরা চাটুকার শ্রেণী। যারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে নেপথ্যে তার কাজের সহযোগী হিসেবে ভুমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে আসল ঘটনা বেরিয়ে পড়ছে। জানা গেছে, পিআইও অফিস সহকারী প্রকৌশলী মন্তুস কুমার মন্ডল বেশ কয়েকটি ব্রীজ কালভার্টের টাকা, আধাপাকা রাস্তা এবং মাটিভরাট কাজের প্রায় সমুদয় অর্থ আত্মসাত করছে এমন অভিযোগে এলাকা সরগরম হয়ে উঠছে। এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার পরামর্শ দিলেও কাজ না করে তিনি সরকারি অর্থ বীরদর্পে মিথ্যা ভাউচারের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। এভাবে কৌশল এবং ছলচাতুরীর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফাইলে কাজের সুরক্ষা দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাসিল করে নিচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, এইভাবে অবৈধ টাকায় সহকারী প্রকৌশলী মন্তুস কুমার মন্ডল তার নিজ এলাকায় বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে এর উপর চার ইউনিটের বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করতছেন। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- সীমিত বেতনে ১০ বছরের মধ্যে কি দূর্নীতি না করলে কি আলাউদ্দিনের চেরাগ দিয়ে এসব করছেন? বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মন্তুস কুমার মন্ডলকে যথাযথ আইনের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করলে তার আসল থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং সকল তথ্য সামনে আসবে বলে অনেকে মনে করেন।
এ বিষয়ে প্রতিনিধি মন্তুস কুমার মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমার এলাকা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন। ১০ শতাংশ জমি কিনে একটি বাড়ী করছি এটি কি বেশি হয়ে গেছে? আমার ১০ বছরের চাকুরী জীবনে আমার বাড়ী, গাড়ী থাকার কথা? দূর্নীতি কে না করে? আমিতো সামান্য একটু হাত দিয়েছি মাত্র। তিনি বলেন, একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অজানা সম্পদওতো থাকে সে দিকে আপনারা নজর দেন না কেনো?। এর মানে কি? তিনি বলেন, দূর্নীতির খলনায়ক হিসেবে যারা চিহ্নিত তাদের বেলায় হিসাব মিলে আর আমার বেলায় দোষ খোঁজ করছেন আপনারা। মন্তুস কুমার মন্ডল আরও জানান, ডিষ্ট্রিক ত্রাণ কর্মকর্তা তিনিও তো তুলসী পাতায় ধোয়া না.....।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত আসছে পরের পর্বে-