অনলাইন ডেস্ক
প্রচণ্ড গরম। বাড়ি থেকে ফেরার সময় গরমে পুড়ে তেঁতে পুড়তে থাকা কোনো ব্যক্তির মেজাজ খারাপ হওয়া অনেক স্বাভাবিক। গরমে হরহামেশাই অনেকে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি, ঝগড়া এমনকি মারপিট হয়ে গেছে। প্রচণ্ড গরমে মেজাজ হারানোর জন্য তীব্র গরমকে দায়ী করা যায়।
তীব্র গরমে অনেকেই পানিশূন্যতায় ভোগেন। কারও কারও খাবারের রুচিও কমে যায়। সব মিলিয়ে শরীরটা খারাপ লাগে। পরিবেশের গরমকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও নিজের মেজাজের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু নিজের কাছেই। মেজাজ ঠাণ্ডা রাখতে হলে শরীরকে স্বস্তিও দেওয়া চাই। এজন্য যা করবেন—
নিজের সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। একটু পরপরই গলা ভিজিয়ে নিন। আরামদায়ক পোশাক পরুন। ছাতা ব্যবহার করুন। শরীর কিংবা মনমেজাজ খারাপ বোধ করলে চোখেমুখে পানি ছিটিয়ে নিন। আপনার কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা থেকে থাকলে চিকিৎসা নিন। নিজেকে স্বস্তিতে রাখাটাই এখানে জরুরি।
কেউ কেউ স্বভাবতই একটু রগচটা গোছের হন। অর্থাৎ তাদের মেজাজ তিরিক্ষি হয় বছরের যেকোনো সময়েই। এটা ব্যক্তিত্বেরই একটা ধরণ। কেউ বদমেজাজি হয়ে থাকলেও যতক্ষণ পর্যন্ত তার মেজাজ তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা সামাজিক জীবনকে বিপর্যস্ত না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি কোনো রোগ না। মেজাজ যে কারণেই গরম হোক না কেন, তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট থাকুন। মনে রাখবেন, বাইরে থেকে কাউকে যত সুখীই মনে হোক, তিনিও হয়তো না পাওয়ার বেদনায় ব্যথিত। তাই নিজেকে কখনো ‘বঞ্চিত’ বা ‘দুর্ভাগা’ ভাববেন না। মেজাজ গরম হয়ে উঠতে শুরু করলে গভীরভাবে শ্বাস নিন। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আসলে কিছুটা সুস্থতায় যাওয়া যায়।
মেজাজ যদি সত্যিই অনেক খারাপ থাকে তাহলে বেশি কথা বলারই প্রয়োজন নেই। বরং নিজেকে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য চুপ থাকুন। যত কম কথা বলবেন ততই ভালো। ক্লান্তির কারণে যদি আপনার মেজাজ খারাপের দিকে যায় তাহলে সমস্যা। কারণ ক্লান্তি অনেক সময় নিজের সংযমকে সামনে থাকতে দেয় না। এজন্য গরমের সময় কেউ কোনো ভুল করলে তাকে ক্ষমা করে দিন। অথবা চেষ্টা করুন তখনই কথা না বলতে। প্রচুর তর্ক-বিতর্কের মাঝে থাকলে যতটা সম্ভব কম কথা বলুন। আবার অন্য পক্ষকে বলুন, এসব বিষয় নিয়ে আর তর্ক যেন না এগোয় সেটার অনুরোধ করুন। গরমে যখনই এমন হিট অব দ্য মোমেন্ট আসে তখনই চেষ্টা করুন পানি খাওয়ার বা স্যালাইন খাওয়ার।