.শীর্ষ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয়ে বরাবরই অনিয়ম,লুটপাটে বেশামাল
.বিভাগীয় তদন্তের তৎপরতরাকে থোড়াই কেয়ার
বিশেষ প্রতিবেদক
কথায় আছে,চোরের দশ দিন আর গেরেস্তের একদিন। ঠিক তেমনি-জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর নোয়াখালি টিটিসির অধ্যক্ষ দীর্ঘ ১৬ বছরে নোয়াখালি ও বান্দরবন টিটিসির প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যের নানা কু-কীর্তিতে হঠাৎ তোপের মুখে পড়েছেন। এ যাবৎ ধুরন্দর অধ্যক্ষ মাহতাব উদ্দিন নিজেকে দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিচয়ে,ছলেবলে বহাল থেকেছে বেপরোয়া অনিয়ম-দুর্নীতিতে। কিন্তু সদ্য তার এ দীর্ঘ মেয়াদী বেপরোয়া অনিয়ম-দুর্নীতিময় অপকর্মের জেরেভুক্তভোগীরা মারমুখি হয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে,বেকার যুব সমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও সচল জনশক্তি করে গড়ে তোলার বদলে অধ্যক্ষ মাহতাব উদ্দিনের অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটে বরাবরই মহা বেপরোয়া। দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালি ও বান্দরবন টিটিসির প্রধানের দায়িত্বের সুযোগে তিনি হটকারিতা,ক্ষমতার বড়াই ও ছলচাতুরির আশ্রয়ে লুটপাট করে উদর ভরেছেন,বঞ্চিত-লাঞ্চিত করেছেন শিক্ষার্থী ও সহযোগি শিক্ষকদের। এতকাল তার এসব নানা অপকর্মের ক্ষোভ চাপা থাকলেও সম্প্রতি তা জলে ওঠ। আর তাই মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টায় নোয়াখালীর গাবুয়া উপ-শহরে নোয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মাহতাব উদ্দিন পাটওয়ারীর অপসারণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন করেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে অধ্যক্ষের প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে চাপে রেখে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নির্যাতনসহ নানা অপকর্মের লোমহর্ষক বিষয় সামসে আসে।