|
বিআরটিএর সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলম দিবে কোথায় -এডি আলতাফ দম্পতি বাটে,আতঙ্ক খাজার ডেগে |
|
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক ভয় ধরাটা অস্বাভাবিক নয়,কারণ-দার থেকে আছাড় বড় অর্থাৎ মানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পদের তুলনায় সম্পদের বাহার অস্বাভাবিক রকম বেমানান। এর আগে এসব সমালোচনার তোপে তাদেরই হোতা এডি এডমিন ডেগ আর খামেগিরি দুটোই হারিয়েছেন। তাছাড়া স্থায়ী ঠিকানা-নোয়াখালি ও বরিশাল চাকরি কুষ্টিয়া ও মাদারিপুরের কোটায়। তাও এনআইডি নকল করে। যা নজরে আসা মানে-ছোটখাট নয়, বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কাই বটে। হঠাৎ সেই গুঁড়ের মালসার পিপড়ারুপি চতুর এডি আলতাফ ধরাশায়ী হওয়ার খবরে গোটা বিআরটিএতে চলছে-শুনশান কানাঘুষা। আলতাফের মত ধুরন্দর বাট খেয়ে গেলো, এবার অশনি কার উপর ভর করে, কে জানে ? এসব নানা কথা বিআরটিএর খোদ হেড অফিসের সিন্ডিকেটের মুখে ফিসফিস শব্দে শোভা পাচ্ছে। সেই সাথে কাঙ্খিত খাজার ডেগের (শুধু টাকা পড়ার জায়গা) সেই খাদেমগিরি অর্থাৎ অতি লোভনীয় পদ এডি এডমিনের (সহকারি পরিচালক-প্রশাসন) দায়িত্ব এখন কার হাতে ? তা নিয়েও চলছে নানা কথা। যদিও এরই মধ্যে ওই এডি এডমিনের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে নবাব ফাহমে আজিম নামের একজনকে বসানো হয়েছে। আর সাবেক এডি এডমিনকে প্রশিক্ষন শাখায় বদলি করা হলেও এখনো নিরবে তৎপর রয়েছেন ওই চেয়ার খানা ফিরে পেতে। বেশ লম্বা সময় ধরেই হেড অফিসের ওই খাজার ডেগের খাদেম সিন্ডিকেট খ্যাত ওই এডি এডমিন সিন্ডিকেটের নানা অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে সমালোচনার সোরগোল চলে আসছে। এরই মধ্যে সেই তুলনায় তুচ্ছ এডি আলতাফ দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার খবরটি ভীতিকর বটেই। আর তাই বিআরটিএ হেড অফিসের কোনকানচিতে এ সংক্রান্ত আলোচনা নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। গত প্রায় মাস খানেক আগে এডি (সহকারি পরিচালক) আলতাফ হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে। অথচ আলতাফ বরাবরই কৌশলে সমালোচনার বাইরে থাকতেন। কিন্তু তাতেও পার পাননি তিনি। অন্যদিকে বিআরটিএর অনিয়মের অভয়ারন্য সার্কেলগুলোর হোতা ও হেড অফিসের এডি এডমিনের (সহকারি পরিচালক-প্রশাসন) তকমাধারী ওই খাজার ডেগের খাদেম রেজাউর রহমান শাহিন ওরফে রিয়াজুর রহমান শাহিন ও তার সহযোগী ভক্ত-মুরিদান গাড়ি চালক সিন্ডিকেট-আলমগীর,তাহের, ফোরকান ও কবির সিন্ডিকেট যুগব্যাপি নানা অপকর্মে ছিল ওপেন সিক্রেট। আর এতে প্রায় বছর খানেক ধরে সমালোচনা তাদের পিছে লেগেই আছে। এর মধ্যেও দাপটি ওই সিন্ডিকেটটি নিরবচ্ছিন্ন সমালোচনা মানে-ওই সব অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অজ্ঞাত-অখ্যাত পত্রিকার প্রতিবেদনগুলোকে থোড়াই কেয়ার করে স্বীয় অভ্যাসে মত্ত ছিলেন। কিন্তু সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে বিষয়গুলো আমলে নিলে সিন্ডিকেটটি একটু নড়েচড়ে বসে। এমন কি ওই সিন্ডিকেটের হোতার খাদেমগিরিও বেহাত হয়। কিন্তু তার ভক্ত-মুরিদান জালিয়াতির নিয়োগপ্রাপ্ত গাড়ি চালকরা ও তাদের আরেক হোতা বহাল তবিয়্যতে রয়েই গেছে। আর সদ্য বরাবরের গুঁড়ের মালসার পিপড়ার মত ধুরন্দর এডি আলতাফ স্ত্রী সমেত গুঁড়ে ডোবে অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কব্জায় আটকে। আর এতে বিআরটিএ জুড়ে যেন নিরব আতঙ্ক, সেই সাথে সমালোচনার ঝড়ে পড়া হেড অফিসের নিয়ন্ত্রন সেল নামের সেই খাজার ডেগের মূল খাদেমসহ তার সিন্ডিকেটের উপরও ওই খড়গ্ নামার আশঙ্কা থেকেই চলছে-নানা কথা। অর্থাৎ এডি আলতাফের মত একজন চতুর লোক এত সহজে ধরাশায়ী হয়ে গেল,অন্যরা বিশেষ করে-হেড অফিসের কিছু লোক এ ধমকা বাতাসে পড়ার আশঙ্কার কথা সবার মুখে মুখে। আসল কথা-খাদেমরুপি ওই এডি এডমিন রক্ষাকবজের ভেতরে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেশামাল হয়ে পড়েছেন দীর্ঘমেয়াদি সমালোচনায়, হস্তচ্যুত করেছেন সেই কাঙ্খিত খাদেমগিরি। রয়েছেন-সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টিতে। বিআরটিএ হেড অফিসের কোটা জালিয়াতির চাকরি প্রাপ্তিতে মধ্যস্থতা, সার্কেলগুলোর বখরা,খরচের নামে চাঁদা ও বদলি, পদোন্নতি,মনিটরিং সেল চাঁদা আদায় সংক্রান্ত দেনদরবারসহ নানা অনিয়ম করে খাদেমগিরির আড়ালে গড়েছেন নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ। সেই সাথে ওই খাজার ডেগে পড়া কাড়িকাড়ি টাকার খাদেমগিরি টিকিয়ে রাখতে গড়া ভক্ত-মুরিদানের শক্তপোক্ত সিন্ডিকেটের আরেক হোতাসহ সদস্যরাও বেহাত করেননি -ঝড়ে আম কুড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ। চাকরি বিআরটিএ হেড অফিসে গাড়ি চালকের পদে হলেও ওই এডি এডমিনের আস্কারায় তারা স্ব স্ব কায়দায় ধান্ধাবাজিতে তৎপর থেকে জুগিয়ে নিয়েছেন-অবাক হওয়ার মত সম্পদ। ওই খাজার ডেগের খাদেমের একান্ত সহযোগী ও সিন্ডিকেটের আরেক হোতা ও এলাকায় টাকার কুমির বলে পরিচিত আলমগীর হোসেনসহ কোটা জালিয়তির চাকরি ওয়ালা আবু তাহের, মোঃ ফোরকান ও কবির হোসেন নিজ নিজ এলাকায় সম্পদশালীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অনেক আগেই। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, প্লটের মালিকও তারা। গাড়ি চাকরি করলেও বেশীর ভাগের বাসায় এসি বিলাসের ব্যবস্থারও পর্যন্ত কমতি নাই। যদিও এর আগে মূল খাদেম ও মুরিদানদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও গাড়ি চালকদের কোটা জালিয়াতি করে অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় জাল করে চাকরি বাগানোর বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় কয়েক দফা খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে তারা এসব পাত্তা না দিয়েই একধরনের নিরাপদেই রয়েছেন। তবে ওই গুঁড়ের পিঁপড়া মানে-এডি আলতাফের ঘটনায় তারা ক্ষীনমাত্রার কাপুনি খেয়েছেন মাত্র। আর তাতেই ওই খাজার ডেগ তুল্য এডি এডমিন শাহিন সিন্ডিকেটের মধ্যে ভীতির ফিসফাস (চুপি স্বরে কথা) যেন থামছে না।
মূল খাদেমসহ মুরিদানদের অদৃশ্য আয়ে অর্জিত সম্পদ ও আলিশান জীবনের ছোট গল্পটা বাকি রইলো। সেই সাথে ইকুরিয়া থেকে আরো ভয়ঙ্কর খিলক্ষেতস্থ পাশ-ফেলের আরেক গেড়াকল’র কুশিলবদের নির্বিঘ্ন ধান্ধাবাজির রকমফেরটা। আর এ প্রতিবেদনটি লেখার শুরুতেই পর্যায়ক্রমে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারসহ সংশ্লিস্ট সকলের মোবাইলে ফোন করে কথা বলার চেস্টা করেও সম্ভব হয়নি। কারণ তারা কেউই ফোন ধরেননি। এটা নাকি তাদের অভ্যাস। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি সূত্র থেকে জানা গেছে-ওই সংস্থার (বিআরটিএ) ছোট, মাঝারি ও বড় পর্যায়ের অনেকের অনিয়ম তদন্তধীন। সময় হলেই জানা যাবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান
, সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com
|
|
|
|