|
খিলগাঁয়ে বস্তা বদলের ফাঁকে টিসিবি,ওএমএস ভোক্তাদের ভাগ্য,দেখার কেউ নেই |
|
|
|
|
|
এসব গুঞ্জনসহ খাদ্য অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবগত করার পর ওই দিন অভিযানের নামে ফায়দা হাসিল। স্থানীয় কতিপয় সংবাদকর্মী নামধারী দালাল ও পুলিশের সোর্সের আস্কারায় এখনো বহাল বস্তাসহ ভোক্তা ঠকানোর নানা কারসাজি। নিজস্ব প্রতিবেদক রাজধানীতে ওএমএস ও টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। হরহামেশাই শোনা যায়-ওই সব ডিলার ও দোকানদারদের অসহয় মানুষের ভাগ্য বস্তা বদলের ফাঁকে ফেলে শুন্য থেকে উপর তলায় ওঠার খবর। তবে তুলনামূলক ঘনবসতিপূর্ণ ও নিম্নবিত্ত অধ্যুষিত এলাকায় খিলগাঁয়ের সিপাহীবাগে তা যেন সম্পূর্ণ অবাধ ও খোলামেলা প্রতিযেগিতায় রুপ নিয়েছে। ওই এলাকার বেশীর ভাগ ডিলার ও দোকানদাররা ধার্যকৃত দিনে প্রহসন ও প্রদর্শনমূলক পণ্য বিপননে ওএমএস ও টিসিবির সংশ্লিস্টদের (বিক্রয় পরিদর্শনকারী) ম্যানেজ করে কারসাজি করে ভোক্তাদের বঞ্চিত করে প্রকাশ্য খোলা বাজারে বিক্রি করছে বলে ক্ষোভময় অভিযোগ সবার মুখে মুখে। তাই এ ব্যাপারে একটু ভাবা ও সত্যটা জানার ইচ্ছে থেকেই চোখ ফেরাতেই নজরে আসে ওই সিপাহীবাগের চারতলা গলি সংলগ্ন একটি (বিপরীত পাশে) ওএমএসর দোকানে। যেখানে জন ১৫-২০ নারী পুরুষ লম্বা সারিতে দাড়িয়ে আটা-চালের আশায় প্রহর গুনছে, উৎকন্ঠায় ধাক্কাধাক্কি ও চেচামেচি করছে। তারই মধ্যে ৫০উর্ধ্ব জুলেখা বেগমের (ছদ্মনাম) কাছে উত্তেজিত হওয়ার কারণ চাইলে,একযোগে কয়েকজন বলে ওঠেন, চিল্লামু না,হেই ফজরের সময় আইসা লাইনে দাড়াইছি। ১০টায় খুলছে,ঘষতে মাজতে ১১টা। এরপর পরে আসা ও লাইনের বাইরের লোকজনরে দিয়ে কইবে বন্ধ। তখন দোকানের দিকে তাকাতে দেখা যায়,ভেতরে তিন-চারজন লোকের দুজন কাগজ কলম নিয়ে ব্যস্ত। আর একজন চাল-আটার বস্তা সামনে নিয়ে বসে আছেন আর একজন পেছনে। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষার পর বোঝা গেল,কাগজ-কলমে ব্যস্ত একজন অফিসার,অন্য জন দোকান মালিক। মালিকের নাম ফিরোজ। যিনি কারসাজিতে এ অঞ্চলে মার্কামারা। আর পেছনে রয়েছে বেস্টনী দিয়ে ভাগ করা দোকানের ছোট্ট একটি অংশ। যেন একটা ডার্ক রুম। সেখানে কি হয় ? সেটা যা হয়,আসছি পরে। তবে বেশ কিছু সময় পরে ওই অফিসার সেখান থেকে ইশারা ইঙ্গিতে কথা সেরে বেরিয়ে পড়ার সময় তাকে-আপনি খাদ্যের লোক ? ভাই একটু কথা শুনেন বলতেই পাত্তা না দিয়ে কি কারণে যেন দ্রুত সটকে পড়েন। এরপর ওই দোকানদারকে তিনি ডিলার কিনা জানতে চাইলে হকচকিয়ে পড়েন। কি সমস্যা জানার জন্য শুরু হয় ব্যস্ততা। আর এর পেছনের খুঁজে পাওয়া কারণ হলো-বেশ আগে ওই ওএমএসর পণ্য হেরফের ও বাজারে বিক্রি করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনার দায়ে থানা পুলিশের জালে আটকে হেনস্তা হয়েছেন। ফাঁকে ঢুকেছে-কথিত সংবাদকর্মী ও পুলিশের সোর্স। সব মিলিয়ে বলা যায়,ফিরোজ নামের ওই দোকানদার এলাকার অন্য সবার মত কিছু অসাধু পুলিশ, সোর্স ও কথিত সংবাদকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে ওই সব অনিয়মের অভিযোগ থোড়াই করে চালাচ্ছেন প্রহসন আর প্রদর্শনের ওএমএসর কারবার। আর দিনমত তদারকিতে আসা দুই নারী ও পুরুষ অফিসার তো দেড়-দুই হাজারেই ঠান্ডা। এ ব্যাপারে জানার জন্য দোকান মালিক ফিরোজের মোবাইলে ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে খাদ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র এব্যাপারে জানিয়েছে,এসব অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব ছোটখাট কানাঘুষার মধ্যে গেল বুধবার বিকেল খাদ্য অধিদপ্তরের আকস্মিক অভিযান। আর তাতে ধরা খেল বস্তা বদলসহ ভোক্তা ঠকানোর কারসাজি। এরপর কি হলো ? দেখা যাক।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান
, সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com
|
|
|
|