|
নারী এনবিআর কর্মকর্তাকে অপহরণ, নির্যাতন অতপর ১৮ ঘন্টা পর মুক্ত ! |
|
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দিয়ে রাত ৮ টার সময় মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার একজন নারী কর কর্মকর্তা (৪৯)। কয়েকজন ব্যক্তি মাইক্রোবাস থামিয়ে ওই কর্মকর্তার চালককে মারধর শুরু করেন। এরপর চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করেন তারা। পরদিন বেলা দুইটার দিকে ওই নারী কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ও তিন অপহরণকারীকে আটক করেন। ওই ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করেছেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। চলতি মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- সাইফুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাব্বির ও ইয়াছিন আরাফাত রাজু। নির্যাতনের শিকার মাসুমা খাতুন গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ বলছে, গত ১৮ অগাস্ট রাত ৮টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মাসুমা ও তার গাড়িচালককে মারধর করে কয়েকজন। এরপর সেখান থেকে মাসুমাকে তুলে নিয়ে সবুজবাগ থানা এলাকার একটি গ্যারেজে ১৮ ঘণ্টা আটকে রাখে তারা। সেসময় নির্যাতনে এই কর্মকর্তার পা ভেঙ্গে যায়। তার চোখও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাসুমার দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই দিন বড় মগবাজার থেকে নিজের গাড়িতে করে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন এই কর কর্মকর্তা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে তাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেল। চালক গাড়ি থেকে নামলে সংঘবদ্ধ কয়েকজন চাবি কেড়ে নিয়ে গাড়িচালক আনোয়ার ও মাসুমাকে মারধর শুরু করে। এরপর আনোয়ারকে রেখে মাসুমা ও তার গাড়ি সবুজবাগের একটি গ্যারেজে নিয়ে যায় অপহরকারীরা। মাসুমার মুখ টেপ দিয়ে আটকে রাতভর মারধর করা হয়। পরদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চলে। রমনা থানার পুলিশ জানায়, নারী কর কর্মকর্তা এজাহারে ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে। তবে মূল আসামি মাসুদ গ্রেপ্তার না হওয়ায় এর পেছনে কারা আছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় জনতা সাইফুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক ও ইয়াছিন আরাফাত ওরফে রাজু নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তারা মাসুদের সহযোগী। তিনজনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। এ চক্রটির মূল কাজ অপহরণ করা। তাদের ৫ থেকে ৭ সদস্যর একটি চক্র আছে। তিনি বলেন, চক্রের বাকী সদস্যদের ধরতে কাজ করা হচ্ছে। মাসুদের গ্রামের বাড়ি ও তার ঠিকানা পাওয়া গেছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ফারুক হোসেন বলেন, মাসুদসহ চক্রের বাকি সদস্যরা গ্রেপ্তার হলে জানা যাবে এর আগেও তারা আর কতো অপহরণ করেছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান
, সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com
|
|
|
|