দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও অবরোধে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণহানি ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রাণহানির বড় একটি অংশই ঘটেছে ইসরায়েলি হামলা ও খাদ্যাভাবজনিত দুর্ভিক্ষে।
গাজা শহরজুড়ে হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। ইসরায়েল এই শহর থেকে হাজারো বাসিন্দাকে জোরপূর্বক দক্ষিণের তথাকথিত ‘কনসেন্ট্রেশন জোনে’ পাঠাতে চায় বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। সোমবারের হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৪ জন সাহায্যপ্রত্যাশী।
গাজা সিটির আল-সাবরা এলাকায় হামলায় সাংবাদিক ইসলাম আল-কৌমিসহ তিনজন নিহত হন বলে চিকিৎসা সূত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হামলার মাত্রা ও কৌশল গাজার ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত কাঠামো বদলে দিতে চায় ইসরায়েল।
একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজারো ফিলিস্তিনি নতুন করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন, তবে অনেকে অর্থের অভাবে গাজা ছেড়ে যেতে পারছেন না। অনেকেই জানিয়েছেন, দক্ষিণে যাওয়ার খরচ প্রায় ৯০০ ডলার, যা তাদের সামর্থ্যের বাইরে।
এদিকে, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া মেনে নিয়েছে হামাস। সম্ভাব্য এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং বন্দিবিনিময় কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
তবে ফিলিস্তিনিরা আগেও এমন আশায় প্রতারিত হয়েছেন। জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি মার্চে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা চরমে পৌঁছেছে।