অনলাইন ডেস্ক:
আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ায় অসহায় দিন পার করছিলেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা হালিমা বেগম। মানবেতর এ জীবন যাপনের খবর জানতে পারেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক। এরপরই ওই বৃদ্ধাকে ঘর নির্মাণ করে দেন তিনি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) খুলনার রুপসা পরিদর্শনকালে ওই বৃদ্ধাকে ঘর নির্মাণ করে দেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রুপসা উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামে একটি টিনের ঘরে হালিমা বেগম (৬৮) বসবাস করতেন। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে বিভিন্ন সময় মানুষের বাসায় ও অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। গত ১৯ মার্চ সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে সৃষ্ট আগুন লেগে তার একমাত্র সম্বল টিনের ঘরটি পুড়ে যায়। তখন থেকে তিনি খোলা আকাশের নিচে আর বৃষ্টি হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছিলেন।
হালিমা বেগম জানান, ‘বাসাবাড়িতে ও দিনমজুরের কাজ করে চলতাম। ঘরটা পুড়ে গেছে। ঠাঁই আছিলো না কোনো। খুলনা দিয়া পুলিশ স্যার আইসে আবার ঘর কইরা দিয়া গেছে আমারে। তার জন্য দোয়া করছি আমি।’
রুপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, রেঞ্জ ডিআইজি স্যার রুপসা পরিদর্শনকালে তার নির্দেশনায় বৃদ্ধার ঘরটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক বলেন, গত রমজান মাসে বৃদ্ধার ঘুর পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখি বৃদ্ধা সহায়-সম্বলহীন। ঘরটি আর নির্মাণ করতে পারেননি। এটা জেনে খুব খারাপ লাগছিল। তাই ঘরটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তাকে উপহার দিয়েছি।