অনলাইন ডেস্ক:
হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট আগের মতো পাঁচ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদেশ জারি করবে এনবিআর।
এছাড়া ওষুধ ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ব্যবসায় ভ্যাটের হার কমতে পারে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৯ জানুয়ারি ফল, বিস্কুটসহ শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এরপর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আইএসপির ভ্যাট কমানো হতে পারে। আর রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট ফিরছে আগের হারে।
হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেবায় ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। আগে ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। এই খাতে তিনগুণ ভ্যাট বাড়ায় এনবিআর।
এছাড়া ইন্টারনেট সেবায় ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এই সেবায় আগে কোনো ভ্যাট ছিল না। অন্যদিকে ওষুধের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসা পর্যায়ে ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তিন শতাংশ করা হয়।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাটের হার আগের মতো ৫ শতাংশ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, মূসক ও ভ্যাট সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেবার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। সরকার এই সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। এ খাতের ভ্যাট পুনরায় পাঁচ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক রাজস্ব বোর্ড কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আশা করছি আজ অথবা রোববারের মধ্যে জারি হবে।
তিনি বলেন, গতকাল আমরা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করবো। আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পণ্যের বিষয়ে আলাপ, আলোচনা চলছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেস্তোরাঁসহ তিন খাতের প্রতিনিধিরা তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আমাদের চিঠি পাঠিয়েছেন। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে এসব খাতের আরোপিত বা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের ভ্যাট পলিসি বিভাগের প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমানের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিতে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাতের ভ্যাট হার পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
ওষুধ খাতের উদ্যোক্তারাও এই ভ্যাট কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওষুধ খাতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি।