অনলাইন ডেস্ক
এক কার্যদিবস কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়ার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণের। ফলে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে দুই মাস পর ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচকের বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের ৪ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ২৯ পয়েন্ট।
তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে লেনদেনের ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য আধাঘণ্টার মধ্যে আবার সূচক পজিটিভ হয়। সেইসঙ্গে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়। ফলে সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৮৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ৭ মে’র পর ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- স্যালভো কেমিক্যাল, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিস, ওরিয়ন ফার্মা, ফারইস্ট নিটিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।