অনলাইন ডেস্ক
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা করার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) ৬ মাসের শিশু নুবাইদ বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।
এ রিটে বাদী হয়েছেন ছয় মাস বয়সী শিশু এবং তার মা। তবে শিশুর পক্ষে আইনগত অভিভাবক হিসেবে হলফনামা করেছেন তার বাবা। বিষয়টি জানান শিশুর মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে বলা হয়, নবজাতকের যত্নে কেবল মায়ের ভূমিকা মুখ্য, এ ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। বাবার ভূমিকাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ সীমিত। এ ছাড়া সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার বাংলাদেশে অনেক বেশি। সিজারের পর সুস্থ হতে মায়ের সময় লাগে।এ সময়ে নবজাতক ও মায়ের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। পিতৃত্বকালীন ছুটির সুযোগ না থাকায় যারা নতুন বাবা হন, তাদের পক্ষে স্ত্রী ও নবজাতকের দেখাশোনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়।
আইনজীবী জানান, আইএলওর ২০১৪ সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ৭৮টিরও বেশি দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে। পিতৃত্বকালীন ছুটি নীতিমালা না থাকা সংবিধানের ৭, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।