শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ঘুষকান্ডে প্রশ্নবোধক হয়ে উঠছেন এসআই ইমানুর   * কারওয়ানবাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো অবরোধকারীদের   * দল জিতিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদো   * এবার কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প   * স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমছে   * ভূবনমোহন পার্কে গ্যারেজ বানিয়ে টাকা তুলছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা   * বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল   * আশ্বাস না পেলে সড়ক ছাড়বেন না মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা   * জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস   * আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য: ট্রাম্প  

   অর্থ-বাণিজ্য
পোশাকখাতে শ্রমিক ৫০ লাখ ১৭ হাজার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  Date : 24-06-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক

দেশে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (২৩ জুন) সংসদে ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিবিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক রয়েছেন। এরমধ্যে ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী। অর্থাৎ নারী শ্রমিক ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন।

তিনি আরও জানান, বিকেএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী নিট সেক্টরে ১৭ লাখ ২৫৫ শ্রমিক রয়েছেন। যার ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ ৫৪ হাজার ১৫৭ জন নারী। সব মিলিয়ে দেশে তৈরি পোশাকখাতে মোট ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক রয়েছেন। যার ৫৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৬ জন নারী শ্রমিক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতে মোট লোকবল ৪৩ লাখ ১৬ হাজার। যার ৩৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, অর্থাৎ ১৬ লাখ ১৯ হাজার জন নারী।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিলে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় রয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিলে ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৮.৬৯ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬.৭৮ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭.৩৫ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৪১ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫.৯২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫.৪৪ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫.৮৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫.৪৮ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫.৬৫ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৫৬ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.১৫ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯.০২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল।

২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

সংরক্ষিত আসনের শাম্মী আহমেদের প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি সাত হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তামাক ও মদ জাতীয় পণ্য ছাড়া সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা লাভ করায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি লাঘব হচ্ছে এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মে পর্যন্ত পণ্য খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫১ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার। এ সময়ে সেবাখাতের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৮৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।



  
  সর্বশেষ
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল ॥ জেলা প্রশাসক রহস্যজনক ও অন্যায় পথ অবলম্বন করছে মেঘনা গ্রুপকে বাঁচাতে (পর্ব ২)
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে, ২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে
ডিএসসিসি’র বর্জ্র্যে থামেনি জুলুমবাজি, অধ্বতনদের হতাশা ও ক্ষোভ চরমে

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com