অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে পাঁচটি হাতবোমা ছুড়ে মারা হয়, যেগুলোর মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়নি।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, কার্যালয়ের সামনের সড়কে হাতবোমা মেরে মোটরসাইকেলে পালানোর সময় ‘নিক্ষেপকারী’ দুইজনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
রমনা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা অরূপ দত্ত বলেন, বাংলামোটরে হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গেছেন। আহতের বিষয়ে এখনও তথ্য নেই।
এ নিয়ে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার অন্তত আট জায়গায় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনার খবর এল।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এনসিপির আরেক নেতা সরদার আমিরুল ইসলাম সাগর ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ককটেল হামলা করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস দিয়ে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে দুজনকে আটক করা হয়।
“এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বাকশালী গুন্ডারা ককটেল মেরেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে শিশির ভাইয়ের গাড়িতে করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসারত সুহৃদ তারেককে দেখতে যাচ্ছিলাম। ড্রাইভার শ্রমিকশক্তির নেতা জাহাঙ্গীর ভাইকে বললাম ধরেন ওদের। ইস্কাটন স্কুলের সামনে জাহাঙ্গীর ভাই বাকশালী গুন্ডাদের বাইকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
“এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে বোমা হামলাকারী দুজনে আটক করি। আটক করা মাত্র স্থানীয় জনসাধারণ এমন উত্তম মাধ্যম দেয় যে বোমা হামলাকারীদের বাঁচাতে অর্ধেক মার আমার গায়ে পরে।”
এনসিপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সন্দেহভাজন একজনকে মারধর করতে দেখা যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের লাইভ ভিডিওতে।