বুধবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম :

   পাঁচমিশালী
কক্সবাজার থেকে নেপাল পর্যন্ত হেঁটে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে উঠলেন শাকিল
  Date : 20-05-2025
Share Button

খুলনা ডেস্ক:

স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজারের ইনানি সৈকত থেকে যাত্রা শুরু করে অবশেষে মাউন্ট এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছেছেন গাজীপুরের তরুণ ইকরামুল হাসান শাকিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে হাঁটা শুরু করে ৮৪ দিনে প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২০ মে নেপাল সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছান। শাকিল বাংলাদেশের সপ্তম পর্বতারোহী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন, তবে একমাত্র তিনিই কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই সাফল্য অর্জন করলেন।

এই দুঃসাহসিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি টু সামিট’। শাকিলের আগে এই ধরনের রেকর্ড ছিল মাত্র একজনের। ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে এভারেস্টে উঠেছিলেন। তবে শাকিল আরও বেশি পথ এবং কম সময়ে হাঁটার মাধ্যমে একটি অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। তিনি এভারেস্টের পথে সবচেয়ে বেশি হাঁটা এবং সবচেয়ে কম সময়ে পর্বত জয়ের রেকর্ড গড়ে হয়েছেন বিশ্বের কনিষ্ঠ ‘সি টু সামিট’ সফল পর্বতারোহী।

শাকিলের অভিযান সফল হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের ট্রাভেল এজেন্সি ‘এইটকে এক্সপেডিশনস’। অভিযানের সমন্বয়কারীরা জানান, শাকিল বর্তমানে ক্যাম্প-৪-এ অবস্থান করছেন এবং সুস্থ রয়েছেন, যদিও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বাগচালা গ্রামের সন্তান শাকিল শৈশব থেকেই পাহাড়ের প্রতি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করতেন। জনতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর উত্তরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ভারতের নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে প্রাথমিক ও উচ্চতর পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

এভারেস্ট অভিযানের আগে তিনি ২০২৩ সালে নেপালের গ্রেট হিমালয় ট্রেইলে ১,৭০০ কিলোমিটার হেঁটে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। এছাড়া তিনি আরোহণ করেছেন মাউন্ট কায়াজো রি (৬১৮৬ মিটার), হিমলুং (৭১২৭ মিটার), এবং দোলমা খাং (৬৩৩২ মিটার) সহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

শাকিলের দীর্ঘ যাত্রাপথ ছিল কক্সবাজার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও পঞ্চগড় হয়ে ভারতের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং অতিক্রম করে নেপালের পথে। তাঁর বন্ধু এবি সিদ্দিক জানান, শাকিল ১২ দিনে কক্সবাজার থেকে ঢাকা পৌঁছান এবং এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা পাড়ি দেন।

শাকিলের অসাধারণ সাফল্যে তার পরিবার, বন্ধু এবং শিক্ষকরা আনন্দে আপ্লুত। পিয়ার আলী কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আবুল খায়ের জানান, শাকিলের সাফল্যে পুরো দেশের গর্বের স্থান হয়েছে। শাকিলের মা শিরিনা আক্তার আবেগে বলেন, ছেলের দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না, কিন্তু এখন গর্বে বুক ভরে গেছে।

শাকিলের ‘সি টু সামিট’ অভিযানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল ‘প্রাণ’, এবং সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), মিস্টার নুডলস, মাকলু-ই-ট্রেডার্স নেপাল এবং সিস্টেমা টুথব্রাশ। এই অসাধারণ অভিযানের মাধ্যমে শাকিল শুধু দেশের মুখ উজ্জ্বল করেননি, বরং তরুণদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার গল্প তৈরি করেছেন।



  
  সর্বশেষ
ডয়চে ভেলে’র চোখে তারেক রহমানের দেশে ফেরা
বাংলাদেশের আইন সাংবাদিকবান্ধব নয়: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা
প্রাণ-আরএফএল’র ভিশন এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com