মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু   * সরকারি ছুটির দিনেও সচল আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল   * স্বৈরাচারের পতনে সব শেষ নয়, এটা নতুন বাংলাদেশে যাওয়ার একটা মাধ্যম   * অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনা জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র   * আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে পর্যবেক্ষণ কমিটি, আজও বন্ধ ২০ কারখানা   * প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক আজ   * ১৬ ঘণ্টা পর বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু   * শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন   * বিকেল থেকে কমতে পারে বৃষ্টি   * ডিসি নিয়োগ বাতিল হওয়া উপসচিব এনামুল করিম এবার ওএসডি  

   অপরাধ-দূর্নীতি
মুকসুদপুরে শ্রাবণী হত্যাকান্ডে মাস্টারমাইন্ড ছানোয়ারকে রক্ষার পায়তারা
  Date : 28-07-2024
Share Button

তানজিল হৃদয়, গোপালগঞ্জ থেকে:

শ্রাবণী হত্যাকে আত্মহত্যা বলে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ও আলোচিত নির্মম এ হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছানোয়ার বেপারী ওরফে দোকানদার ছানো মোল্লাকে মামলার আসামী না করায় তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সুবিধার গ্রহণের অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় সূত্র সূমূহ জানিয়েছে, যৌতুকের দাবীতে নানাবিধ অত্যাচার –নির্যাতন করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার সৈদ্দী গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে শ্রাবণী আক্তারকে(১৯) পাশবিক নির্যাতন করে ২৭ মার্চ ২০২৩ রাতে হত্যা করা হয়। হত্যার পর নিহতের স্বামী হাসান বেপারী (২৩) ও তার পরিবার তাদের নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী ছানোয়ার বেপারীর সহযোগীতায় লাশ গুমের সব ধরনের চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় তারা।

শ্রাবণীর মা তার মেয়ের হত্যার বর্ননা দিতে গিয়ে বলেন, ২৭/৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ৪.০০ টায় শ্রাবণীর ননদ মনিকা শ্রাবনীর বড় বোন ময়নার ফোন নম্বরে ফোন করে জানায় যে, শ্রাবনী আক্তার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থার রয়েছে। দ্রুত তাকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে যেতে বলে। সে মোতাবেক আমার বড় মেয়ে ময়না, ছোট ছেলে ইব্রাহীম, দেবর ইলিয়াছকে নিয়ে শ্রাবনীর শ্বশুরবাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে আমি আমার মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায় যে আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য টেকেরহাট নিয়ে গেছে। সে অনুযায়ী আমরা টেকেরহাটের দিকে রওয়ানা হই। এর কিছুক্ষণ পরে পুনরায় মেয়ের ননদ ফোন করে জানায় আমার মেয়ে শ্রাবনীকে বাড়িতে নিয়ে আসছে। তখন আমরা সবাই আবার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ফেরৎ আসি।

২৭/৩/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ৫ ঘটিকার সময় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির উঠানে একটি ভ্যানের উপরে আমার মেয়ে কে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই । তখন আমরা সবাই জোরে চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকি। এতে স্থানীয় লোকজন এসে জড়ো হতে থাকে। আমার মেয়ের মৃতদেহ দেখে তার শরীর পরীক্ষা কালে মাথার পেছনে ও কানের দুই পাশে ফোলা জখম এবং গলায় চন্দ্রাকৃতির রক্ত জমাট জখম দেখতে পাই। এ সময়ে আমার মেয়ের গায়ে জখম কেনো জিজ্ঞাসা করলে মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজনের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়। এ সময়ে মেয়ের জামাই হাসান সহ তার বাবা ও অন্যান্যরা গা ঢাকা দেয়। আমি মেয়ের মৃত্যুর সঠিক কোন কারণ বুঝতে না পেরে মেয়ের থাকার ঘরে গিয়ে দেখতে পাই বিছানা পত্র সহ ঘরের অন্যান্য মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যাতে নির্মমভাবে অত্যাচার নির্যাতনের আলামত সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। তখন আমরা বুঝতে পারি যে, আমার মেয়ে শ্রাবনীকে অত্যাচার-নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় তাৎক্ষণিক ভাবে মুকসুদপুর থানাধীন সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ীতে সংবাদ জানালে সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই মোঃ শওকত হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আমাদের উপস্থিতিতে আমার মেয়ের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান ।

বিগত ১৯/৫/২০২৪ খ্রিঃ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ এর তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, শ্রাবণী আক্তার( ১৯) আত্মহত্যা করে নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ভিসেরা রিপোর্টেও নিম্ন লিখিত মতামত প্রদান করা হয়, শ্রাবনী আক্তার আত্বহত্যা করেনি। তদন্তকালে সুরতহাল রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যায় ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৫টি জখমের চিহ্ন ছিল। জানা যায়, বাদী সহ অন্যান্য সাক্ষীদের এর জবানবন্দিতে জানা যায় ভিকটিম আত্মাহত্যা করেনি, যৌতুকের জন্য আসামীরা প্রায়ই শারীরিকভাবে মারপিট করত, ঘটনার দিন ডিসিস্ট শ্রাবনী আক্তারকে মারপিট করা হয় মর্মে সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণ পাওয়া পেয়েছে। এ বিষয়ে ২৭ তারিখে মুকসুদপুর থানায় ৩০২/৩৪ প্যানাল কোড রুজু হয়। যার মামলার নাম্বার ২৯। আসামীরা হলেন ১। হাসান বেপারী (২৩), ২। শাহাদাৎ বেপারী (২৮), উভয় পিতা- তারা মিয়া বেপারী, ৩। তারা মিয়া বেপারী (৫৫ পিতা- মৃত জয় বেপারী, ৪। হেনা বেগম (৪২) স্বামী-তারা মিয়া বেপারী, ৫। মিতা বেগম (২০) স্বামী- শাহাদাৎ বেপারী, সর্বসাং- সৈদ্দী, ৬। ছনিয়া বেগম (২৫), স্বামী- দেলোয়ার শেখ, সাং- মোল্লাদী, সর্ব থানা- মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ ও ৭। মনিকা বেগম (২৮), স্বামী- মোঃ জিলুর রহমান, সাং-হাজরাকান্দা, থানা-ভাংগা, জেলা: ফরিদপুর।

স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, শ্রাবণী হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলো ছানোয়ার বেপারী ওরফে দোকানদার ছানো মোল্লা, রাতেই লাশ গুম করে দেয়ার জন্য এমন কোন চেষ্টা নাই যে সে করে নি। আসামীদের তালিকায় তার নাম না থাকাটা রহস্য জনক।

অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে আসামীর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছন। তবে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি এখোনো তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ছানোয়ার বেপারীর সাথে কথা বলতে নানা ভাবে চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



  
  সর্বশেষ
বিআরটিএ’র সর্বাঙ্গে ব্যথা মলম দিবে কোথায়- কোটা জালিয়াতির কর্মচারীরা এখনো বহাল তবিয়্যতে
রক্ষকবেশী ভক্ষণকারীদের লালসার নাটক এপ্রিলের ধারাবাহিক অগ্নিকান্ড
জামাই-বউয়ের পুকুর ডাকাতিতে ন্যুজ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট
এশিয়ার সর্ববৃহৎ ব্যাংক কেলেঙ্কারির নায়ক এস. আলম

প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস , অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন |
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০। ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮, ০১৪০২০৩৮১৮৭ , ০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com