বুধবার, নভেম্বর ১২, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * দরপতনে বিপর্যস্ত শেয়ার বাজার   * ভারসাম্যমূলক সমাধান’ খুঁজছে অন্তর্বর্তী সরকার   * এনসিপির অফিসের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণ   * দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি: জামায়াত আমির   * ভোলা-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরের সংবর্ধনায় লাখো মানুষের ঢল   * ভোলার রাজনীতিতে জমে উঠেছে নির্বাচনী সমীকরণ: একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিএনপিতে অস্থিরতা, আত্মবিশ্বাসী জামায়াত   * নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জামায়াতের   * ভাঙ্গায় মাদ্রাসা কর্মচারীকে জড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেল   * আবদুল আউয়াল মিন্টু পেলেন ‘টপ অ্যাগ্রি-ফুড পাইওনিয়ার–২০২৫’ সম্মাননা   * ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার ‘শান্তিচুক্তি’ সই  

   বিশেষ সংবাদ
পরিকল্পনা শাহীনের, কিলিং মিশনের প্রধান মোকাররম!
  Date : 23-05-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের। খুনিরাও একই সময়ে ভারতে গেলেও তারা একসঙ্গে যাননি। কিলিং মিশনের প্রধান মোকাররম এমপি আজিমের পরিচিত। ভারতে যাওয়ার পর তারা একসঙ্গে হন। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জনৈক শাহীনও ঘটনার সময় ভারতে ছিলেন। এরপর পরই তিনি দেশে ফেরেন এবং দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। হত্যাকাণ্ডের সময় সঞ্জিবা অ্যাপার্টমেন্টের ঐ ফ্ল্যাটে ছয় জন ছিলেন। এর মধ্যে তিন জন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত হয়েছে। মোকাররম, সিনথিয়া ও মারুফ নামে তিন জনকে আটক করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। এর মধ্যে মোকাররম পুরো হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। কেন হত্যাকাণ্ড সে সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান গতকাল বুধবার ইত্তেফাককে বলেন, ‘আজ সকালেই আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তিনি খুন হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমরা তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’ আটককৃতরা কি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে?—জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, অনেক তথ্যই জানা গেছে। এখনই এর বেশি কিছু বলা যাবে না।’

যেভাবে এই হত্যাকাণ্ড: গত ১২ মে ভারতে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজিম তার পূর্বপরিচিত বন্ধুসম্পর্কীয় গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বের হন। এর মধ্যে আজিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন সিনথিয়া ও মোকাররম। তাদের সঙ্গেই তিনি সঞ্জিবা অ্যাপার্টমেন্টের ঐ ফ্ল্যাটে যান। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, আজিমের সঙ্গে তিন জন ভেতরে যাচ্ছেন। এদের এক জন নারী। অন্য দুই জন পুরুষ। ধারণা করা হচ্ছে, এই তিন জন হলেন—মোকাররম, সিনথিয়া ও মারুফ। তবে খুনের সময় ছিলেন ছয় জন। অন্য তিন জনের ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানতে পারেনি পুলিশ। এদের দুই জন ভারতীয় নাগরিক বলে পুলিশের ধারণা।

ঐ ফ্ল্যাটে আজিমকে হত্যার পর লাশ তিন টুকরো করা হয়। তিনটি ব্যাগে ভরে তিন জনকে ব্যাগগুলো ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাগগুলো তারা কোথায় ফেলেছে, সে ব্যাপারে মোকাররম কিছু বলতে পারেনি। সিসিটিভির ফুটেজ বলছে, ১৩ মে তারা ফ্ল্যাটে ঢুকলেও ঐ দিন কেউ বের হননি। পরে এক জন ১৫ মে, এক জন ১৬ মে, এক জন ১৭ মে বের হন। কিন্তু আজিমকে আর বের হতে দেখা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি ঐ ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ পেলেও ফ্ল্যাটের মধ্যে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন লাশের সন্ধানে অভিযান চলছে।

গোয়েন্দারা বলছেন, মোকাররম দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বড় স্বর্ণ চোরাকারবারি। মারুফ এক সময় ভারতের বাসিন্দা ছিলেন। পরে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গায় মাইগ্রেট হয়ে চলে আসেন। তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়িত। এরা দুই জনই আজিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

শাহীনের সঙ্গে আজিমের কেন বিরোধ :মোকাররম গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন, শাহীনের সঙ্গে আজিমের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আজিমের চিনির ব্যবসা আছে। এছাড়াও তারা দুই জন আরও কিছু ব্যবসায় জড়িত। সেই ব্যবসার ৪ কোটি টাকা আজিম পাবেন শাহীনের কাছে। কেউ বলছেন, এটা হুন্ডির টাকা, আবার কেউ বলছেন, এটা স্বর্ণ চোরাকারবারির টাকা। মোকাররমও নিশ্চিত নন, এই টাকা আসলে কীসের। তবে ৪ কোটি টাকা বিরোধের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শাহীন টাকা দিচ্ছেন না। নির্বাচনের আগে গত অক্টোবরে এ নিয়ে মীমাংসা বৈঠক হয়। বৈঠকে মীমাংসাও হয়। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাদের দ্বন্দ্ব থেকে যায়। কয়েক দিন আগে একে অপরকে হুমকি দিয়েছে। সেখানে শাহীন বলেছে, ‘আমি টাকা দেব না’, আর আজিম বলেছে, ‘কীভাবে টাকা আদায় করতে হয় আমি জানি।’ এরপর বিরোধ আরো বাড়ে।

এরপর শাহীন এমপি আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তার এই পরিকল্পনায় যোগ দেন মোকাররম ও মারুফ। সিনথিয়াকে ব্যবহার করে কিলিং মিশন সম্পন্ন করেন তারা। হত্যাকাণ্ডের সময় শাহীনও ভারতে ছিলেন। দুই দিন পরই তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর এক দিন পরই দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান শাহীন। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।



  
  সর্বশেষ
দরপতনে বিপর্যস্ত শেয়ার বাজার
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা
প্রাণ-আরএফএল’র ভিশন এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে
অপরাধের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানী-বারিধারা

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com