কিছুদিন না যেতেই দালালীকৃত ৩০ হাজার টাকা সম্পর্কে শরিফুল জেনে যাওয়ায় বিপত্তি বাধে। শম্ভুগঞ্জ বাজারে শরিফুলের গাড়ীর ড্রাইভারকে শম্ভুগঞ্জের লোকজন আটক করে রাখে এবং বিক্রেতা আজহারুল ইসলাম আজাদকে ফোন মারফত আটককৃতদের উদ্ধার করতে চাইলে মোটা অংকের টাকার দাবী করেন। আজহারুল ইসলাম ফোনের মাধ্যমে বলেন যদি কেউ আমার কাছে টাকা পায় তাহলে সে আমার কাছে এসে নিয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা। উক্ত বিষয়ে পরানগঞ্জ বাজারে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপোষ মিমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও কোন সুরাহা হয় নাই । পরে আজাদ জানতে পারে আশরাফুল ও ইমরান শম্মুগঞ্জের লোকজনদের সাথে আতাত করে গাড়ি বিক্রির ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরৎ দিতে চাপ প্রয়োগ করে। বিক্রেতা আজাদ তাদের বলেন যদি আমাকে আমার গাড়ির বডি ফেরত দেয়া হয় তাহলে আমি এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ফেরৎ দিবো। কিন্তু তারা বিক্রেতার কথায় কর্ণপাত না করে হুমকি দেয়।
গত ২৫/৭/২০২৫ইং তারিখ আজাদের মোবাইল ফোনে ০১৪০০৭৮৭৮৭৫ নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। সে জানায় গাড়ি ভাড়া লাগবে, পাটতলা বাজার থেকে রহিমগঞ্জ বাজারে বেকু মেশিন নিয়ে দিতে হবে। আজাদ তাদের কৌশল বুঝতে না পেরে তাদের কাছে তিন হাজার টাকা ভাড়া চুক্তি করে তাতে প্রতারক চক্র রাজি হয়ে একটি লবেট গাড়ি পাঠাতে বলেন। তার কথায় আজাদের ছেলে গাড়ি চালক শাকির আহমে শুভ এবং হেলপার আল-আমিনকে পাঠিয়ে দেয়। পাটতলা বাজার থেকে দু’শ হাত দুরে হালিম খাঁর বাড়ির সামনে যেতেই পাকা রাস্তার উপরে ওৎ পেতে থাকা জুলহাস গংয়ের ৯-১০ জন সহযোগীদের নিয়ে গাড়ি চালক শুভ ও আল আমিনের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রসস্ত্র, লোহার রড দিয়া এলোপাথাড়ি আঘাত করে এবং ছুরি দিয়ে পেটে ও হাতে জখম করে, তাতে শুভ গুরুতর জখম হলে হামলাকারীরা লবেট গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
আজাদ জানায় পাটতলার স্থানীয় লোকজন জিন্নাত আলীর চায়ের দোকানে আশরাফুল ও শরিফুলক আটকে রাখে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ৯৯৯ ফোন করি এবং ঘটনা স্থলে ছুটে যাই। একঘন্টা পর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিন্নাত আলী ও তার ভাই ইন্নাস আলী আমার সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। আটককৃত আশরাফুল ও শরিফুলকে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেয়। অতঃপর জানতে পারি জিন্নাত আলী ও চায়ের দোকানদার আটক দুজনের বোন জামাই, সব কিছুই তাদের পরিকল্পনার অংশ। জিন্নাত আলী,ইন্নাস আলী সহ চায়ের দোকানদার ও ক্রেতা শরিফুল ও দলাল আশরাফুলের পরিকল্পিত পাতানো ফাদঁ। গাড়ি ক্রয়, দালালী বাবদ টাকা গ্রহন অতঃপর মিথ্যা অজুহাতে গাড়ি ভাড়া নিয়ে আমার ছেলেদের মারধর জখম করে গাড়ি ছিনতাই করা সবই পূর্ব পরিকল্পনা। ড্রাইভার শাকির আহমেদ শুভ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে যা চলমান। গাড়ির মালিক আজহারুল ইসলাম আজাদ জানায় ষড়যন্ত্রকারীরা আমার বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জানাগেছে হামলাকারীরা মারধর করে গাড়ি ছিনতাই করেও উল্টো আমার বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে যা মিথ্যা ও বানোয়াট। গাড়ীর বডি ক্রয়, গাড়ি ভাড়া নিয়ে মারধর করে ছিনতাই সবই উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতারণার অংশ। আমার অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মানহানি ঘটানোর জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।তাতে আমার সম্মান মারাত্মক ভাবে ক্ষুন্ন করেছে।এমন একটি জঘন্য ঘটনার শিকার হওয়ার পরেও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে যা নিন্দিত। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।