খুলনা ডেস্ক:
নিহত শরিফুল ইসলাম তালা উপজেলার শাহাপুর দাওয়াতুল কুরানুল হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি হরিহর গ্রামের প্রয়াত মাওলানা আলিমুদ্দিন গাজীর ছেলে। রাজু গাজী একই গ্রামের বাসিন্দা এবং গোলাম মোস্তফা ওরফে খোকন গাজীর ছেলে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, রাজু গাজীর মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও মাদকাসক্তির অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে রাজু মাদরাসা এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করছিল। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে জানালে তিনি রাজুকে বাধা দেন। এরপর রাজু হঠাৎ দা দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় এবং শরিফুল ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
শিক্ষকের মৃত্যুর পর এলাকাবাসী রাজুকে ধরে ফেলে এবং উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করলে তিনিও নিহত হন। শাহাপুর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফফার জানান, রাজু অনেকদিন ধরেই এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করছিল। শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর তার আগ্রাসী আচরণ নতুন নয়।
নিহত রাজুর ভগ্নিপতি দিদারুল আলম জানান, রাজু মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না এবং পরিবার এ ঘটনায় কোনো মামলা করবে না বলে জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তালা থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও পটভূমি খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।