খুলনা ডেস্ক:
বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকা আট ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতিতে বন্ধ রয়েছে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিক্রি কার্যক্রম, ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। ২৫ মে, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। কর্মবিরতির ফলে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোগুলো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পগুলোতেও বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য ১০ দফা দাবিতে সংগঠনটি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানিয়েছেন, সকাল থেকে খুলনার কোনো ডিপো থেকে তেল পরিবহন কিংবা উত্তোলন হয়নি। জ্বালানি তেলের বিতরণ ও বিপণন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। দুপুর ২টার পর এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে বলে তিনি জানান।
রাজশাহীতেও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গেছে। নগরীর ৫০টি পেট্রোল পাম্প এবং তেল পরিবহনে ব্যবহৃত প্রায় ১০০টি গাড়ি সকাল থেকে অচল অবস্থায় রয়েছে। চালকরা পাম্পে গিয়ে তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন, ফলে যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এবং অনেকে কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিসুর রহমান শিমুল জানান, ১২ মে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা ১২ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করছেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশে উন্নীত করা, সড়ক অধিদপ্তর ও ভূমি ইজারা মাশুল পুরোনো হারে বহাল রাখা, পাম্প সংযোগ সড়কের ইজারার সময় নির্ধারিত পে-অর্ডার জমা দিয়ে তা নবায়ন বলবৎ হিসেবে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী কেবল ডিসপেন্সিং ইউনিট এবং স্টেম্পিং যাচাই কার্যক্রম চালু রাখা, আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন ও ডিপ রড পরীক্ষণের ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
এই প্রতীকী কর্মবিরতির কারণে দেশজুড়ে জ্বালানি খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক, যাত্রী এবং ব্যবসায়ীরা। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।