শনিবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ঘুষকান্ডে প্রশ্নবোধক হয়ে উঠছেন এসআই ইমানুর   * কারওয়ানবাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো অবরোধকারীদের   * দল জিতিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদো   * এবার কোস্টগার্ড প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প   * স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমছে   * ভূবনমোহন পার্কে গ্যারেজ বানিয়ে টাকা তুলছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা   * বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে বহিষ্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল   * আশ্বাস না পেলে সড়ক ছাড়বেন না মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা   * জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস   * আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করাই মূল লক্ষ্য: ট্রাম্প  

   আন্তর্জাতিক
গাজায় শরণার্থী শিবির-হাসপাতালে হামলায় নিহত আরও প্রায় ৫০
  Date : 07-12-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক:

গাজার শরণার্থী শিবির এবং হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আরও প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু এবং পাঁচ নারী রয়েছে।

এদিকে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে সেখানকার অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক এবং ড্রোন দিয়ে কামাল আদওয়ানের চারপাশে হামলা চালানো হচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে বা এর কাছাকাছি যে কোনো চলন্ত বস্তু দেখলেই গুলি করা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৬১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন।

এদিকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়।

সংস্থাটি জানায়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং কয়েক মাসের তদন্ত ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিবৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে উল্লিখিত আইনি সংজ্ঞা অনুযায়ী গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে তারা।

অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের নিষিদ্ধ পাঁচটি কাজের মধ্যে অন্তত তিনটি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের জীবনযাত্রাকে মানবেতর করে তুলেছে।

সংস্থাটির সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, মাসের পর মাস, ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদেরকে মানবাধিকার এবং মর্যাদার অযোগ্য একটি অবমানবিক গোষ্ঠী হিসাবে আচরণ করেছে, তাদের শারীরিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায় দেখিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।



  
  সর্বশেষ
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল ॥ জেলা প্রশাসক রহস্যজনক ও অন্যায় পথ অবলম্বন করছে মেঘনা গ্রুপকে বাঁচাতে (পর্ব ২)
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে, ২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে
ডিএসসিসি’র বর্জ্র্যে থামেনি জুলুমবাজি, অধ্বতনদের হতাশা ও ক্ষোভ চরমে

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com