দিলীপ গোয়ালা, ময়মনসিংহ:
কথা উঠেছে -পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের দোয়া লেগেছিলো ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার সাবেক পিআইও জাকারিয়া আলমের গায়ে। সম্প্রতি তিনি কালিয়াকৈর উপজিলা পিআইও হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। তার দোয়া কবুল হয়েছিলো বলে হাতে আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের মন্ত্রের ফজিলত থাকায় সরকারের এই মহান ব্যাক্তি জাকারিয়া আলম নির্ভয়ে চলতে পারছেন, নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আর বিশেষ টার্গেট নিয়ে পরিকল্পনা করছেন নতুন টাকার গাছ লাগানো, ফল ভাগাভাগি আর সুবিধাজনক দায়িত্ব পাওয়ার। সাথে আছে তারমত আরো অনেকের কৃতকর্মের সমন্বয় করে দেওয়ার মেওয়া, দোওয়ার বরকত। যে কারণে তিনি মাত্র আট বছরের মাথায় বিশাল অর্থের অট্টালিকাসহ নামে বেনামে সম্পদের ছোঁয়া পেয়ে বিশেষ নামকরা ব্যাক্তিতে পরিনত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, নানান প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অদৃশ্য ইশারা আর নয়-ছয়ের ধোয়া তুলে এধরনের টাকা বানানোর মেশিন পেয়েছেন তিনি। তার এই টাকা বানানোর মেশিনের কারণে সাধারণ জনসাধারণের কাজের হেরফের হয়ে কি পরিমাণ দুর্ভোগ, আর সরকারের কতশত কোটি টাকা গচ্ছা গেছে তা পর্যবেক্ষণের বেরিয়ে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
অন্য একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, বিশেষ গুণ থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চেয়ারম্যান, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে তার ছিলো মধুর লিয়াজো। অন্যদিকে যাদুর কাঠির বলে ভূয়া মাষ্টার রোল তৈরি আর তা জমা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বানানোর হয়তো গায়েবী মন্ত্র জানতেন তিনি। আর চার দিক ম্যানেজ করা তার জন্য কোনো বিষয়ই ছিলো না। যা হয়তোবা আলাদিনের চেরাগের সন্ধান দিয়েছে।
সুত্রে জানাগেছে, তারাকান্দা এলাকায় সেসময়ের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণে ক্ষেত্রে নয়ছয় কর্মকান্ডে তা কি কতটুকু ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে রয়েছে সেটি তদন্ত করলেই বের হবে। এছাড়া ইউপি ভবন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ সহ অন্যান্য প্রকল্পে তার দায়িত্বের অবস্থান কি সেটা হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই জানার সুযোগ হতে পারে সবার জন্য। একটি সূত্র বলেছে, তার বিষয়ে নতুন করে দুদকে অভিযোগের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। এছাড়া তিনি কার কার সাথে ভাগাভাগি করেছেন সেটিও প্রকাশ করার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে সুত্র মারফত জানা গেছে। এছাড়া যেখানে সিনিয়রদের থাকার কথা কি কারণে, কার লিয়াজোতে জুনিয়র কর্মকর্তা যুক্ত হলো সেটিও তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় অনেকে।
তারাকান্দার সাবেক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতার মর্জাদায় রাখতে এবং তার কিছু যেনো প্রকাশ না হয় এজন্য কৌশলী অবস্থান গ্রহণ এবং রহস্যজনক আচারণে যুক্ত রয়েছেন। তার বিস্তারিত প্রকাশ করতে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। যা পরবর্তি সংখ্যাগুলোয় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে।
একটি সুত্র বলেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক পিআইও জাকারিয়া আলমের কাছে ভরসা করার মত সখ্যতার কর্মকর্তা। হয়তো তিনি এজন্যই ড্যাম কেয়ারে থাকেন সব সময়। বিষয়টি জানতে উক্ত দফতরের মহাপরিচালকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সুত্র বলেছে অনিয়মের প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে জাকারিয়া আলমের কাছে জানতে কথা বলতে চাইলে তিনি নিয়মিত এড়িয়ে চলছেন এবং প্রতিনিধিকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ও হুমকিিদিচ্ছেন।।