রংপুরের পীরগাছায় অমুসলিমদের নিয়ে কমিটি গঠন করা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জামায়াত দাবি করছে, রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অমুসলিমদের নিয়ে কোনো কমিটি করা হয়নি। সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘অমুসলিম নাগরিক সেবা কমিটি’ নামে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে বলেও দাবি দলটির স্থানীয় নেতাদের।
পীরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ বলেন, জামায়াত মূলত অমুসলিমদের নিয়ে কিছু সেবামূলক কাজ করে। তারই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সদর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে হিন্দু ভাইদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এখানে অমুসলিম ভাইদের বিভিন্ন সেবা দিতে ‘নাগরিক সেবা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। যেমন অসুস্থতা, দুস্থ মানুষ, ব্লাড ডোনেশন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, বিরোধ মীমাংসাসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবাগুলো অমুসলিমরাও যাতে পায়, তাই সেটি নিশ্চিত করতেই একাট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক শাখা কমিটি নয়। শুধু সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিটি। এ ধরনের নাগরিক সেবামূলক অনেক কমিটি আগেও ছিল। জামায়াত প্রকাশ্যে কাজ করার সুযোগ না থাকায় কমিটিগুলো সচল ছিল না। কিন্তু মিডিয়ায় এটি ভুলভাবে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠক থেকে ‘অমুসলিম নাগরিক সেবা কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি হন মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভবেশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক ওষুধ ব্যবসায়ী বিজন চন্দ্র দাস। কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহসভাপতি দেবী চৌধুরানী ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক তাপস চন্দ্র রায়, সহসম্পাদক পদে কিসামত ঝিনিয়া সনাতন সংঘের সভাপতি সুধারঞ্জন বর্মণ, অর্থ সম্পাদক দেউতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র বর্মণ।
বিষয়টি নিয়ে কমিটির গঠিত নাগরিক সেবা কমিটির সেক্রেটারি বিজন চন্দ্র দাস জানান, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা অমুসলিমদের মাঝে সেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি করতে বলেছিল। যাতে আমাদের মাধ্যমে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। আমরা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ কমিটি করেছি। জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই