বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত   * ভারত-পাকিস্তান ইস্যু না, দেশ হিসেবে সিন্ডিকেট হলে সমস্যা   * দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকলনবিশদের   * সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২১ নভেম্বর, থাকছে যত আয়োজন   * পাকিস্তানে খেলা, দৃৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত   * গাজায় ১৭ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল   * যে কারণে দ্য উইচার ছাড়ছেন সুপারম্যান তারকা   * বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায়   * বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি এখন যুক্তরাষ্ট্রে   * ফিরতি লেগে নেদারল্যান্ডসকে রুখে দিলো বসনিয়া  

   সভা-সেমিনার
মুরাদনগরে আওয়ামী-সন্ত্রাসী খায়রুল ইসলাম মিনহাজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  Date : 21-09-2024
Share Button

নিজস্ব সংবাদদাতা:

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে কুমিল্লার মুরাদনগরের সাধারণ খাওয়া মানুষ অনেকটাই পরবাসী জীবনযাপন করছিল। আওয়ামী সময়কার সন্ত্রাসের জনপথ খ্যাত মুরাদনগর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা আসার অত্যন্ত শান্তিময় ও সুশৃংখল অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে মনে করেন এলাকার মানুষ। একই সঙ্গে তারা স্বস্তি বোধও করেন। কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে আবারোও কতিপয় দুষ্কৃতীদের দ্বারা মুরাদনগর সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে চলেছে।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিগত আওয়ামী সরকারের সন্ত্রাসী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম মিনহাজের  অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মানববন্ধন করেছে ভূক্তভোগীরা। 
আজ সকালে মুরাদনগরের মুগসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করেন শতাধিক ভূক্তভোগী।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য হুমায়ুন সরকার, বিএনপি নেতা মোঃ অলিউল্লাহ, প্রবাসী সফিউল বাশার, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক জামাল সরকার, আবদুল সাত্তার, আবদুল বাতেন, হালেমা বেগমসহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী, আমলা ও পুলিশের বড় কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক থাকায় খায়রুল কিশোর গ্যাংসহ  একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। বিএনপি পন্থী বা তার মতের অমিল হলে এ বাহিনীর হামলার স্বীকার হতে হতো। খায়রুল পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করত।০৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর খায়রুল তার বিএনপি নেতা বড় ভাইয়ের মাধ্যমে ০৬ আগস্ট বিএনপি নেতা দুলাল ও জামালের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। ভূক্তভোগীরা সন্ত্রাসী খাইরুলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় দাবী জানান প্রশাসনের কাছে।


মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জানা যায়  মুরাদনগরের মুগসাইর এর বাসিন্দা মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামের অত্যাচারে বিগত সরকারের আমলে এলাকার মানুষে দিশেহারা ছিল। আওয়ামী সরকারি দলের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী খাইরুল নানাভাবে মানুষকে জিম্মি করে চলেছে। খায়রুল ছিল অত্র অঞ্চলের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। বিগত দিনে খাইরুলের অত্যাচারের কাহিনী মানুষের মুখে মুখে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষ সাহস পাচ্ছে।জানা যায়, মুগসাইর গ্রামের আব্দুল বিল্লাল সাধারণ দরিদ্র কৃষক ও দোকানদারদের নিয়ে একটি উন্নয়নমুখী সমিতির কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সমিতির সদস্যদের কষ্টার্জিত টাকা থেকে বিল্লাল একটি জমি ক্রয় করে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। জমিটি বিল্লালকে জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে খাইরুল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গ পুকুর খনন করে দখল করে নেয়। বিল্লাল এর প্রতিবাদ করলে তাকে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয় এবং সে ফেরারি আসামির মত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে করে সমিতির যারা সাধারণ সদস্য কষ্ট করে টাকা জমিয়েছিল, তাদের কষ্টার্জিত সেই অর্থ তারা কবে কিভাবে ফেরত পাবে কেউ জানে না। আব্দুল বাতেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি তিনি সমাবেশে বলেন   সন্ত্রাসী খায়রুলের বসত বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণে ঠিকাদারীর কাজ নেয় আব্দুল বাতেন। যথাসময়ে কাজ সম্পূর্ণ করে খাইরুল এর কাছে ন্যায্য পাওনা চাইতে গেলে সে নানা টালবাহানায় করে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ব্যাপারে বাতেন প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়।জনৈক ভুক্তভোগী বলেন   সবাই আশায় বুক বেঁধেছিল বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভয়ে পালাবে। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি দিয়ে খায়রুল তার বিএনপি নেতা বড় ভাইয়ের মাধ্যমে নির্যাতিত বিএনপি নেতা দুলাল ও জামালের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ হত বিহ্বল হয়ে পড়েছে। খাইরুল তার বিএনপি নেতা বড় ভাইকে ব্যবহার করে ত্রাশের রাজত্ব শুরু করেছে। অন্যদিকে, বাতেন বেশ কয়েকটি মামলার বোঝা নিয়ে অমানবিকভাবে জীবন যাপন করছে। এমন কি বাতেনের বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে একাধিক মাদক ও ডাকাতির মামলাও রয়েছে।  


বক্তারা বলেন   অত্র এলাকার একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির স্ত্রীর দিকেও দৃষ্টি দেয় খাইরুল। সে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে পরকীয়ার পর তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ঘরছাড়া করে। ধামঘর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ আলমের পিতা এনু মিয়া পেশায় কৃষক। শাহ আলমের পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে খাইরুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে বাধা দেয়। কেবল তাই না শাহ আলমকে লোকজনের সামনে অত্যন্ত নির্মমভাবে মারধর করে। পরবর্তীতে তাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করে। সমাবেশে ভুক্তভোগির আরো বলেন   সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা খাইরুল বাহিনীর অত্যন্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বিল্লাল খায়রুলের ডান হাত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আওয়ামী সন্ত্রাসী খাইরুল বাহিনীর শক্তিতে বলিয়ান হয়ে বিল্লালও নানান ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে যায়। ঠিক সরকার পতনের কিছুদিন আগে নাজমুলের অটোর সাথে মুরগি আঘাতপ্রাপ্ত হলে নাজমুলকে পাশবিকভাবে উপর্যুপরি আঘাত করে থানায় চালান করে দেওয়া হয়। অটোবাইক চালক নাজমুল খাইরুল বাহিনীর ভয়ে তখন এলাকা ছাড়া হয়।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, খায়রুলের পরিবারের অনৈতিক কাজ ধরা পড়ার পর খায়রুলের ভগ্নিপতি মাসুদ তালাক দিলে খায়রুল তাকে ব্যাপক মারধর করে মিথ্যে মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেন, আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি ও মানবিক মূল্যবোধে ধস নামায় এবং বিচারহীনতা কিংবা বিচারে ধীরগতির সংস্কৃতিও অপরাধীদের বেপরোয়া করে দিচ্ছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে খায়রুল বাহিনীর অত্যাচারে কিশোর গ্যাংসহ উঠতি বয়সের তরুণদের অনেককে অমানুষ করে তুলছে। আমরা মনে করি তার অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপরাধী হওয়ার তৎপরতাও ঠেকাতে হবে।উল্লেখ্য যে, কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী খায়রুল ওরফে ইয়াবা খাইরুল বাহিনীর বর্বর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। একের পর এক মুক্তিযোদ্ধা, সংখ্যালঘুসহ নরী-পুরুষ নির্বিশেষে নিরীহ মানুষ তাদের হামলা-চাঁদাবাজি-নির্যাতন-ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। এমনকি ঘরের মধ্যে ঢুকে বাপ-মা, ছেলে-মেয়েকে বেদম কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মালামাল লুটে নিচ্ছে। মেয়েদের সম্ভ্রম রক্ষায় মায়েরা তটস্থ থাকেন। ১০/১২ জনের এ সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অত্র এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের ভয়ে কেউ টুঁ-শব্দ করতে সাহস পেত না। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশার আলো দেখা দিয়েছে এলাকার মানুষের। সবাই চায় খায়রুল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের সঠিক বিচার হোক।



  
  সর্বশেষ
সচিবের ফাঁদে দিশেহারা নিহতের পরিবার, বেরিয়ে আসছে-ক্ষমতার থলের বিড়াল
চেয়ারম্যান পালায়নের পর মেঘনা ব্যাংকে উজমা চৌধুরীর প্রশ্নবোধক আধিপত্য
শতকোটি টাকার মালিক রাজস্ব বোর্ডের ড্রাইভার আরজু
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ ১১ মামলা বাতিল

প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস , অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন |
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০। ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮, ০১৪০২০৩৮১৮৭ , ০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com