অনলাইন ডেস্ক
এখন টালিউডজুড়ে চলছে পূজায় সিনেমা মুক্তি নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই মধ্যে পূজায় মুক্তির মিছিলে থাকা বেশ কিছু সিনেমার নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত এসভিএফ তাদের পূজার সিনেমার নাম ঘোষণা করেনি। তাই পূজায় তারা কোনো সিনেমা নিয়ে আসবে কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
চলতি বছর পূজায় সৃজিত মুখার্জী দেব ও রুক্মিণী মৈত্রের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিয়ে আসছেন ‘টেক্কা’। ফলে তিনি এবার ‘এসভিএফ’র সঙ্গে যে পূজার সিনেমার জন্য জোট বাঁধবেন না, তা এক প্রকার স্পষ্ট। অন্যদিকে শোনা গিয়েছিল, পূজায় এসভিএফ ‘একেনবাবু’কে নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু জানা গেছে, রাশিয়ায় শুটিং নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেওয়ায় সেই সিনেমা নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কিছুদিন আগে এক সংবাদে জানা গিয়েছিল, এসভিএফ তাদের পূজার সিনেমা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিক পর্যায়ে এ সিনেমার জন্য যেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কথা ভাবা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ সিনেমা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা যায়।
এ দিকে প্রযোজনা সংস্থার পূজার সিনেমা প্রসঙ্গে অন্য একটি খবর টালিপাড়ার ছড়িয়ে পড়েছে। নেপথ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ছবি। পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নতুন সিনেমা অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি এ সিনেমার একটি গানের দৃশ্যের শুটিং সম্পন্ন করেছেন পরিচালক। শুটিং ফ্লোরের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, মিঠুনের সঙ্গেই সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজ, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কোরিওগ্রাফার বাবা যাদব এবং প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে। শোনা যাচ্ছে, দুর্গাপূজার প্রেক্ষাপটে ওই গানটিকে ভাবা হয়েছে।
হঠাৎ করে রাজের সিনেমা পূজার আঙ্গিক কেন? টালিপাড়ার এক সূত্রের দাবি, রাহুলের সিনেমা বাস্তবায়িত না হলে প্রযোজনা সংস্থা রাজের সিনেমাটিকে তাদের পূজার সিনেমা হিসেবে নিয়ে আসতে পারে। পূজায় মিঠুনকে নিয়ে পরিচালক পথিকৃৎ বসু যে ‘শাস্ত্রী’ সিনেমা নিয়ে আসছেন, শুরুতেই তা জানা গিয়েছিল। এখন প্রশ্ন, তাহলে কি এবার পূজায় দর্শক একটির পরিবর্তে দুটি বাংলা সিনেমায় মিঠুনকে দেখা যাবে? এর উত্তর এখনো জানা যায়নি।
ইন্ডাস্ট্রির অন্য একটি সূত্রের দাবি, পূজা আসতে এখনো কয়েক মাস বাকি। অর্থাৎ এখনো নানান সমীকরণ তৈরি হতে পারে। গত বছর প্রযোজনা সংস্থার পক্ষে পূজায় মুক্তি পেয়েছিল সৃজিতের ‘দশম অবতার’। সেই সিনেমাও ঘোষণা এবং শুটিং অনেক পরে শুরু হয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত কী হয়, এখনো তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।