বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * কারাগারে অসুস্থ সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ঢামেকে ভর্তি   * ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী গ্রেফতার   * বায়ুদূষণের শীর্ষে আজ কায়রো, ঢাকা ৬ নম্বরে   * পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে সরকার: আইজিপি   * আদালতে দোষী হলেও জনতার কাছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বীর: নাছিম   * উত্তরাঞ্চলে শীত বাড়তে পারে   * বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির ১৬ নির্দেশনা   * চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে ছিনতাই, গ্রেফতার ৩   * কখন কারামুক্ত হবেন লুৎফুজ্জামান বাবর?   * কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধে আইন পরিবর্তন হচ্ছে: ফরিদা আখতার  

   সারাবাংলা
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল করে নাম বদলে দিলেন বিএনপি নেতারা
  Date : 09-09-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক:

বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ দখল করে নাম বদলে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুরোনো সাইনবোর্ডের সামনে দুদিন আগে নতুন নামের একটি ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ‘বরিশাল জেলা মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’ নাম থাকা এই আড়তের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র’। তবে এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি আগে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান নামকরণের উদ্যোক্তারা।

জানা গেছে, গত দেড় যুগ ধরে এর দখল ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে। সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতারা আড়ত দখলে নিয়ে নাম বদলে দিয়েছেন।

তবে এ নামকরণের বিষয়ে কিছু জানে না বাজারটির ইজারাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এমনকি নগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও এ বিষয়ে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।

পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১০ সালের দিকে এর নিয়ন্ত্রণ নেন মৎস্যজীবী লীগের নেতা খান হাবিব। তিনি ছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের অনুসারী। তিনি তার বাহিনী দিয়ে মোকামের পাশাপাশি রাস্তার ওপর বাজার বসিয়ে চাঁদা তুলতেন। এরপর ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ‘প্রধান খলিফা’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৩ সালে সাদিক নগরে একক আধিপত্য হারালে মোকাম আবারো খান হাবিবের নিয়ন্ত্রণে যায়। তিনি চলতি অর্থবছরে তার স্ত্রীর নামে এটি ইজারা নেন।

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর খান হাবিব আত্মগোপন করেন। এতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বিএনপি নেতা মৎস্য আড়তটিতে হানা দেন। ওই ওয়ার্ডেই ব্যবসা কেন্দ্রটি অবস্থিত। ফলে ৭ ও ৮ আগস্ট সেখানে খাজনা আদায় বন্ধ ছিল। এ খবর জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা গিয়ে প্রকৃত ইজারাদারের প্রতিনিধির খাজনা আদায় নিশ্চিত করেন। তবে খান হাবিবসহ তার অনুসারীরা আত্মগোপনে থাকায় মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর শীর্ষ পদ বাগিয়ে নেন বিএনপিপন্থীরা। এখন তাদের নিয়ন্ত্রণেই চলছে মোকাম।

নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে রয়েছেন মৎস্যজীবী দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক কামাল সিকদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব আনিচুর রহমান মিলন, ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান মো. কামাল ও সদর উপজেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহির সিকদার। এর মধ্যে খান কামাল হলেন খান হাবিবের আপন ভাই।

এ ব্যাপারে খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দখল না করলেও নাম বদল করেছেন, কিন্তু তা অফিসিয়ালি হয়নি। তাছাড়া এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি পূর্বে চারদলীয় জোট সরকারের সময় জিয়ার নামেই ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নাম পরিবর্তন করেছিল। এখন আগের নাম ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এ নিয়ে কথা হলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম শহীদ জিয়ার নামে রাখার বিষয়টি তারা জানেন না। তাদের কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

আর আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তাদের জানা নেই। সরকারিভাবে নাম পরিবর্তনের কোনো অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।



  
  সর্বশেষ
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল ॥ জেলা প্রশাসক রহস্যজনক ও অন্যায় পথ অবলম্বন করছে মেঘনা গ্রুপকে বাঁচাতে (পর্ব ২)
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে, ২০৩০ বিশ্বকাপ ৬ দেশে
ডিএসসিসি’র বর্জ্র্যে থামেনি জুলুমবাজি, অধ্বতনদের হতাশা ও ক্ষোভ চরমে

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com