.মেট্রো-১ আর ২র থমকে দাড়ানোর কোটি টাকার মিশন ফের বহাল
.প্রায় এক যুগের বেশী সময় ধরে চলে আসছে সকালে ফেল,বিকেলে পাস’র গ্যাড়াকলের দুই ধুরন্দর চালকের একচ্ছত্র আধিপত্য। আর মালিক হয়েছেন অভাবনীয় সম্পদের

.ফের হঠাৎ বাগড়ার এ উকিঝুকিতে গাত্রদহে  ঘুষবাজেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওই সেই কথাই-সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলব দিবে কোথায় ? মানে হালকা বাতাসে নড়েচড়ে ফের রক্তচোষা গ্যাড়াকল চালু করা হয়েছে। সোজা কথায়-পরীক্ষায় পাসের ঘুষ এখন কয়েক গুন বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ রোডস্ এন্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)র সার্কেলগুলোর সবচেয়ে বড় অনিয়মের খোলাবাজার-ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফেল-পাস গ্যাড়াকলের রক্তচোষা ঘুষবাজি নিয়ে চলে উপর্যপুরি সেই কঙ্কালসার ব্রাহ্মনের গুরুত্বহীন মন্ত্র পাঠ। যা থামাতে সংশ্লিস্ট ঘুষবাজ কুশিলবদের পক্ষ থেকে চলে নানা চক্রান্ত। কিন্তু নাছোড় বান্দার মত লেগে থাকার এক পর্যায়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসে রক্তচোষা ঘুষবাজরা। সেই সাথে বাড়ে উর্ধ্বতনের প্রহসনের কড়াকড়ি। আর এতে বিআরটিএর সার্কেলগুলোর মধ্যে সব চেয়ে অবাধ ও মোটা টাকার জায়গা বলে বিবেচিত মেট্রো-১ ও মেট্রা-২র ফেল-পাস গ্যাড়াকলের রক্তচোষা ঘুষবাজ চক্রটির ঘুষবাজিতে বেশ ভাটাও লাগে। কিন্তু এরই মধ্যে একটু বেখেয়ালি ফুসতের ফাঁকেই আবার শুরু হয় রক্তচোষা ঘুষবাজির দ্যেরাত্ম। ওই যে কথায় আছে না,খাইচ্ছত যায় না মলে,আর স্বভাব যায় না ধুলে। মানে তারা সদ্য ফের আরো বেগতিক কায়দায় তৎপর হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু দিনের ঘুষের বাজারে ভাটা আর আসন্ন ঈদের টানে ওই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে ফেল-পাস গ্যাড়াকলের চার্জ বাড়িয়ে ঢালাও ভাবে দ্বিগুন হলেও করা হয়েছে কয়েক গুন। সোজা কথায় এর আগে রক্তচোষা ঘুষের হার গড়ে দেড়-দুই হাজার টাকায় চলে আসছিল। সদ্য তা সাধারণত তিন হাজার ও ক্ষেত বিশেষে আরো বেশীতে উন্নীত করেছে। আর এর মধ্যে মেট্রো-১র জোয়াসাহারা (খিলক্ষেত) ও মেট্রা-২র ইকুরিয়ার (কেরানিগঞ্জ) কয়েক ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক) তাদের দেখভালের হোতাদের খুশির খোরাক যোগাতে ফের হয়ে উঠেছে মরিয়া। প্রতিদিন শত শত হতদরিদ্র ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ওই ফেল-পাস গ্যাড়াকলে আটকে রক্তচুষে নিচ্ছে। আর এ যাবতের ঘুষবাজিতে গোছানো রাজকীয় জীবনের রসদ যোগাচ্ছে। তবে.ফের বাগড়ার এ উকিঝুকি থামাতে তৎপর ও মারমুখি দালাল চক্র। আর এ নিয়ে পেছনের কিছু দিনের খুঁজাখুঁজি আর জানা-শোনা নিয়ে থাকছে, কারণ ওই যে সেই কথা কেউ শুনুক বা না শুনুকমন্ত্র পড়েই। কেউ দেখুক বা না দেখুক খুঁজাখুজি আছেই