|
(ফলোআপ): -মহত্য বটে-সেই অন্তঃসত্ত্বার লাশ ছিনিয়ে নদীর চরে দাফন,এটাও একটা “গণকবর” |
|
|
|
|
|
.রুপগঞ্জের বড়পায় খেচুড়ি খেয়ে মৃত্ত্যর পর নরসিংদীর চরবেলাবোতে লাশ ছিনতাই .লাশটি ছিনতাই বা হলো কেন ? . তাহলে কি এটা অস্বাভাবিক মৃত্ত্য ? .সন্দিগ্ধ অপরাধীরা এখন কেনই বা অভিযোগকারীর ওপর উল্টো স্ত্রী হত্যার দায়ের ধুম্রজাল ছড়াচ্ছে ? কামরুজ্জামান মিল্টন প্রায় তিন মাস পরে হলেও দাফনকালে ছিনিয়ে নেয়া সেই আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা রোজিনা বেগম (২৮)’র লাশ দাফনকৃত কবরের সন্ধান মিলিয়েছেন নরসিংদী সদরের পুলিশ। চরবেলাবোস্থ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিঃমি দুরে নদীর চরের ওই কবরটিতে নিশানও টাঙ্গানো হয়েছে। তবে সন্দিগ্ধ জড়িতরা এখন ওই একটা মাত্র কবর সর্বস্ব জায়গাটিকে “গণকবর” দাবি আসল ঘটনাটিকে বরাবরের মত ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেস্টা চালাচ্ছেন বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, ওই দিন নিহত রোজিনার স্বামী বিল্লাল হোসেনকে মারধর করে রোজিনার লাশ ছিনিয়ে নিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয় গ্রামেরই একটি দুস্কৃতকারী চক্র। শুধু তাই নয়, এরপর তাকে পাগল সাব্যস্ত করে সামাজিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার সাথে সাথে আইনি সহয়তার পথ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের উপর মহলে অভিযোগ করায় মাস খানেকের মাথায় স্থানীয় প্রশাসন হঠাৎ বেশ তৎপর হলে চক্রটি নড়েচড়ে বসে। তবে গত সপ্তাহে হঠাৎ নরসিংদী সদরের পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে ফের তৎপর হয়ে ওই কথিত “গণকবর”র সন্ধান মেলান । আর এতে সন্দেহভাজন জড়িতদের মধ্যে দৌড়ঝাপসহ নানা অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এ ঘটনার সন্দেহভাজন হোঁতা ও অভিযোগকারীর চাচা ধন মিয়া (৭০), দুই ভাই সাহাবুদ্দিন ও কাশেম রীতিমত প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন-বিল্লালের (অভিযোগকারীর) ভিটাবাড়ি যা আছে,সব তারা বিক্রি করে এসবের প্রতিশোধ নিবে। এমন কি বিল্লাল গ্রামে ঢুকলে তাকেও খুন করার পরিকল্পনার কথাও সবার মুখে মুখে। পৈত্রিক সম্পত্তির অনাগত অংশীদার নিশ্চিহ্ন করার শেষ চেস্টায় তারই আপন চাচার ইন্দোনে আপন কয়েক ভাই-বোনসহ একটি চক্র অভিনব কায়দায় এঘটনা ঘটাতে পারে। আর সে কারণেই লাশটি ছিনিয়ে নিয়ে বিষয়টিকে সম্পূর্নরুপে ধামাটাপা দেয়ার চেস্টা করেছে। এমনকি বেলাবো থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে পাগল বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত প্রায় তিন মাস আগে তিনি ঢাকায় ফেরি করে বরই বিক্রি শেষে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকার বড়পার আরিফের বাড়ির ভাড়া বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর লাশ দেখতে পান বিল্লাল। একই বাড়িতে ভাড়া থাকা বিল্লালের বড় বোন রুসিয়া ও ছোট এক বোনসহ উপস্থিত অন্যান্য স্বজনরা জানায় মাজারের খেচুড়ি খেয়ে খেচুনি উঠে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে তিনি দিশাহারা হয়ে বোনদের কথামত লাশ দাফনের জন্য বেলাবো নেয়ার পর ওই সব ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বেলাবো থানায় গিয়ে চাচা ধন মিয়া,ভাই সাহাবুদ্দিন,কাশেমসহ সাত-আটজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি বেলাবো থানা পুলিশ। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগসহ পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করেন। বেলাবো ইউপি চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী শাফি জানান, হঠাৎ পুলিশের তদন্ত সংক্রান্ত তৎপরতায় এলাকায় তোলপাড় দেখা দেয়। ওই চক্রটি নিহতের স্বামী বিল্লাল হোসেনকে থামিয়ে দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন,ঘটনাটি অমানবিক। আর এসবের মুলে রয়েছে ভুক্তভোগীর আপন চাচা ধন মিয়া। তিনিই ওই চক্রের হোঁতা। শুধু এটাই নয়,স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় অসাধু সদস্যের সাথে সখ্যতা রেখে ওই বেপরোয়া চক্রটি বরাবরই এধরনের নানা অপকর্ম করে আসছে। কেউ তাদের সামনে কথা বলার সাহস পায় না। ধন মিয়ার সাথে এব্যাপারে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেস্টা করেও সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে ঘটনাস্থল নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার বড়পাস্থ আরিফের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও বিল্লালের বড়বোন রুশিয়া বেগম (রোজিনা যার হেফাজতে ছিল) ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে-বিল্লাল গভীর রাতে এসে তার স্ত্রীকে হত্যা করে রেখে যায়। অথচ এ যাবৎ জানা গেছে ওই দিন রাত নয়টায় খেচুড়ি খেয়ে রোজিনার মৃত্ত্য হয়েছে। বিস্তারিত. . . . .
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান
, সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com
|
|
|
|