স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিজ এক্সেলেন্সি পার্ক ইয়ং-সিক–কে উষ্ণ বিদায় জানাল টাইগার গলফ ক্লাব (টিজিসি)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে টিজিসির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব ও স্মৃতিচারণে ভরে ওঠে পুরো সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, টিজিসি সদস্য ও তাঁদের সহধর্মিণীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ছিল নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্র।
বিদায়ী বক্তব্যের শুরুতে টিজিসির সদস্য নাসিম মজুমদার–এর অনুরোধে সংগঠনের সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মঞ্জুর কাদের বক্তব্য দেন। তিনি রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের বহুমুখী কর্মকাণ্ড, বাংলাদেশের আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ এবং টিজিসি সদস্যদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ও আন্তরিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি ভবিষ্যতেও যেখানেই থাকুন না কেন, টিজিসির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
টিজিসির পরিচালক হাফিজুর রহমান খান রাজশাহী সফরের স্মৃতিচারণ করেন এবং মহিউদ্দিন মোনেম রাষ্ট্রদূতের মানবিক দর্শন ও সৌহার্দ্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নুয়েন কুয়ং, যিনি রাষ্ট্রদূত পার্কের দায়িত্বকালীন অবদানের প্রশংসা করেন। ব্রুনাই দারুস সালামের রাষ্ট্রদূত হাজি হ্যারিস তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করেন।
বিদায়ী ভাষণে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক টিজিসি সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি গত তিন বছরে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ আতিথেয়তার কথা স্মরণ করেন। দেশের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।
গলফ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৯৫ সালে গলফ শুরু করলেও বাংলাদেশে এসে তিনি আবার নতুন করে খেলাটির প্রতি আগ্রহ ফিরে পান। টিজিসির সদস্যদের সঙ্গে কাটানো সময়, কোরিয়ান ইপিজেড গলফ কোর্স ও ভাটিয়ারি গলফ কোর্সে খেলার স্মৃতি তাঁর কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। অনেক সদস্য পুরস্কার জিতে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছবি তোলেন। পুরো আয়োজনটি আনন্দ, সৌহার্দ্য ও আবেগঘন বিদায়ে পরিণত হয়।
অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের জন্য টিজিসির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের বিশেষ করে সহ সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মঞ্জুর কাদের এবং পরিচালক হাফিজুর রহমান খান, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, কিউ এম জাহিদ ও মহিউদ্দিন মোনেমকে ধন্যবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি উপস্থিত সব কূটনীতিক, সদস্য ও তাঁদের সহধর্মিণীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।