খুলনা ডেস্ক:
লিওনেল মেসির ৩৮তম জন্মদিনে ফুটবলবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম নেওয়া এই ফুটবল জাদুকর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অর্জনের তালিকাকে করে তুলেছেন আরও সমৃদ্ধ। আজ, ৩৮ বছর বয়সে পা রাখা এই ফুটবল কিংবদন্তির গড়া ৩৮টি রেকর্ডের দিকে এক নজরে তাকানো যাক।
তিনি ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার যিনি ৮ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, যার মধ্যে সর্বশেষটি জিতেছেন ২০২৩ সালে। মেসি ফিফা বিশ্বকাপে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দুবার গোল্ডেন বল জয় করেছেন—২০১৪ এবং ২০২২ সালে। বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৭৭৮) এবং সবচেয়ে বেশি গোল (৬৭২) করেছেন।
লা লিগায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৪৭৪ গোল, এক মৌসুমে ৫০ গোল, ১৯২ অ্যাসিস্ট এবং এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ অ্যাসিস্টও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মেসির দখলে লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড, চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ৮ হ্যাটট্রিক করে ভাগাভাগি করছেন রোনালদোর সঙ্গে।
২০১২ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ৯১ গোল করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছিলেন মেসি। এল ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ২৬ গোলের মালিকও তিনি। একজন বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ৫২০ ম্যাচ খেলেছেন।
১০টি লা লিগা শিরোপা জেতা নন-স্প্যানিশ খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ ১১২ গোলের মালিক মেসি এবং জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে পাঁচ গোল করা প্রথম খেলোয়াড়, গ্রুপ পর্বে (৮০) ও শেষ ষোলোতে (১৬) সর্বোচ্চ গোল, ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৭৮ গোল এবং ৪০টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল করার একমাত্র ফুটবলার তিনিই।
বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ১২০ গোল করেছেন। টানা ১৮ মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করার রেকর্ডও রয়েছে তাঁর দখলে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ ৪৯৬ গোল এবং ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন সর্বোচ্চ ৬ বার। পিচিচি ট্রফিও জিতেছেন সর্বোচ্চ ৮ বার।
লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩০০ ম্যাচে গোল, এক মৌসুমে ২৭টি ম্যাচে গোল করে আরেকটি রেকর্ড করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৩১৪ মিনিট মাঠে ছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৩ ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৩ গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী আর্জেন্টাইন হিসেবে গোল, চারটি বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র আর্জেন্টাইন, ২৬টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড, প্রতিটি নকআউট ধাপে গোল করা, সর্বোচ্চ ২১টি গোলে সম্পৃক্ততা (১৩ গোল + ৮ অ্যাসিস্ট)—সবই বিশ্বকাপের ইতিহাসে মেসির একক কীর্তি।
সবচেয়ে বেশি ৪৬টি শিরোপা জেতা খেলোয়াড়, টানা চারবার ব্যালন ডি’অর জয়ী একমাত্র ব্যক্তি, অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১৯টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলা এবং সর্বোচ্চ ২,৩১৪ মিনিট মাঠে থাকার রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ গোল করতে সবচেয়ে কম ১২৩ ম্যাচ নিয়েছে তাঁর, আর ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে পঞ্চাশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা প্রথম খেলোয়াড়ও লিওনেল মেসি।
এই ৩৮টি রেকর্ড শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য কিংবদন্তির সাক্ষর, যাঁর নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।