খুলনা ডেস্ক:
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের শেষ ম্যাচে সাউথাম্পটনের জন্য আরও একবার হতাশার গল্প লেখা হলো। আগেই অবনমন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তবে সম্মান রক্ষার শেষ চেষ্টাটাও ব্যর্থ হলো আর্সেনালের বিপক্ষে হেরে। রোববার রাতে সেন্ট মেরিজ স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হারে সাউথাম্পটন এবং সেই সঙ্গে গড়ে ফেলে এক লজ্জাজনক রেকর্ড—প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে প্রথম ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে ৩০টি ম্যাচে পরাজয়। এই হার তাদের লিগ টেবিলের একেবারে তলানিতে নামিয়ে দেয়, মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করে ক্লাবটি।
অন্যদিকে, আর্সেনাল মৌসুম শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানে। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপ হলো মিকেল আরতেতার দল। গানারদের সংগ্রহ ৭৪ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কম। ম্যাচ শেষে আরতেতা জানান, মৌসুমটা ইতিবাচকভাবে শেষ করার লক্ষ্যই ছিল এবং সেটাই হয়েছে। ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তাদের উদ্যম ও শক্তি অসাধারণ। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই, এবং সেটি নিয়েই এখন কাজ করছি।”
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বেন হোয়াইটের কাটব্যাক থেকে গোল করে আর্সেনালকে লিড এনে দেন কিয়েরান টিয়ার্নি। এটি ছিল আর্সেনালের হয়ে তার বিদায়ী ম্যাচ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আসে সাউথাম্পটন। ৫৬ মিনিটে রস স্টুয়ার্টের গোলে সমতা ফেরায় তারা। এরপর আর্সেনাল একের পর এক আক্রমণ চালায়, কিন্তু গোল পাচ্ছিল না। বুকায়ো সাকার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
তবে শেষ মুহূর্তে এসে নাটকীয়ভাবে জয় নিশ্চিত করে আর্সেনাল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় মার্টিন ওডেগার্ড দূরপাল্লার একটি অসাধারণ শটে গোল করে দলকে জয়ের স্বাদ এনে দেন।
আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া এই মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ১৩টি ক্লিন শিট করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ গোল্ডেন গ্লাভ জিতেছেন তিনি। তবে এবার এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের মাত্স সেলসের সঙ্গে, যিনি সমান সংখ্যক ক্লিন শিট রেখেছেন। রায়া বলেন, “এই মৌসুমে নিজেকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমি চেষ্টা করেছি দলের জন্য কাজ করতে এবং সেটাই করে যেতে চাই।”
এই ম্যাচের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ হলো একদিকে সাফল্যের গল্প নিয়ে, অন্যদিকে হতাশার রেকর্ডে নাম লেখাল সাউথাম্পটন।