মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল   * নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত   * ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ   * বীমা গ্রাহকরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাবেনঃ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স   * এক সালমানেই শেষ নজরুলের সারাজীবনের অর্জন   * এসবিএসি ব্যাংকের হাইব্রিড এজিএম, বিএসইসি ও বি.বি’র বিপরীত অবস্থান   * একীভূত হতে চায় না গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি   * "তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি"   * পুতিনের অপেক্ষায় ১৪০ কোটি ভারতীয়   * নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় তারেক রহমানের নিন্দা, চাইলেন আইনি তদন্ত  

   সারাবাংলা
শীত না পড়তেই মাদারীপুরের অলিগলিতে পিঠার পসরা
  Date : 28-11-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক:

নানা কারণে এখন আর আগের মতো ঘরে ঘরে শীতের পিঠা তৈরি হয় না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের শীতের পিঠা। একটি চুলা থেকে কেউ কেউ আটটি চুলায় একসঙ্গে পিঠা তৈরি করছেন। সঙ্গে থাকছে নানা ধরনের ভর্তা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ, শকুনি লেকপাড়, ২নং শকুনি, কলেজের পেছনে, হাসপাতালের মোড়, থানার মোড়, ইটেরপুল, পুরানবাজার, রেন্ডিতলা, করাচি রোড, চৌরাস্তা, পানিছত্র, কাজীর মোড়, পুরাতন ফেরিঘাট, পাকা মসজিদ রোড, জেলখানার কোণা, সৈয়দারবালী, শকুনি এলাকা, পাকদী, খাগদী, বাদাম তলা, মিলন সিনেমা হল সংলগ্ন, লঞ্চঘাট, আমিরাবাদ, মাস্টার কলোনী, সরদার কলোনী, সবুজবাগ, রাস্তি, টিবি ক্লিনিক রোড, নদীর পাড়সহ প্রায় দেড়শতাধিক স্থানে ভ্রাম্যমাণ চুলা বসিয়ে নানা ধরনের পিঠা বিক্রি হচ্ছে।

অনেকেই ভ্যানগাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে আবার নির্দিষ্ট জায়গায় থামিয়েও পিঠা বিক্রি করছেন। সুবিধামতো চুলা বসিয়ে পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, চাপড়ি, পাকন, মুঠি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, ছিট রুটিসহ নানা ধরনের পিঠা বানানো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় চিতই আর ভাপা পিঠা। চিতই পিঠার সঙ্গে দেওয়া হয় শুঁটকি, ধনেপাতা, সরিষা, বাদাম, কালোজিরা, মরিচসহ নানা ধরনের ভর্তা। আর ভাপা পিঠা তৈরি করা হয় মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়, নারিকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে।

এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে সন্ধ্যা হলেই বাড়তে থাকে ক্রেতা। রাত ১১ পর্যন্ত চলে এই বেচা-কেনা। শীত মৌসুমে এক শ্রেণির মানুষ অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পিঠা বিক্রির টাকা দিয়েই সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করেন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, প্রতি পিস চিতই পিঠা ১০ টাকা, ভাপা পিঠা ১৫ টাকা করে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এতে একেকজন পিঠা বিক্রেতার দিনে আয় দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রায় তিন থেকে চার মাস তাদের জীবিকা নির্বাহ হবে এই পিঠা বিক্রি করে।

মাদারীপুর শহরের পুরানবাজার এলাকার কিরণ আক্তার বলেন, আমি একটি ব্যাংকে চাকরি করি। পিঠা বানানোর সময় পাই না। তাই পরিবারের জন্য রাস্তার পাশ থেকেই চিতই পিঠা কিনে এনেছি। সঙ্গে সরিষা, শুঁটকি ও ধনিয়া পাতার ভর্তা এনেছি। সবাই অনেক মজা করে খেয়েছে।

মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকার পিঠা বিক্রেতা রিজিয়া বেগম বলেন, শীত এখনও তেমন পড়েনি। তারপরও পিঠা ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত বেশি পড়লে পিঠা বিক্রিও বেশি হবে।

মাদারীপুরের ইতিহাস গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, পিঠা বাঙালির খাবারের মধ্যে একটি ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া, ব্যস্ততাসহ নানা কারণে এখন আর ঘরে ঘরে আগের মতো পিঠা বানাতে দেখা যায় না। তবে বর্তমানে মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও জনবহুল জায়গায় ভ্রাম্যমাণভাবে এক শ্রেণির মানুষ পিঠা বিক্রি করছেন। এতে করে আমাদের চাহিদা মিটছে পাশাপাশি পিঠার ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে।



  
  সর্বশেষ
এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল
নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ
বীমা গ্রাহকরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাবেনঃ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com