অনলাইন ডেস্ক:
অতীতে সব স্বৈরাচার সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক গণসংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনকে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে ভোটের অধিকার কেউ হরণ করতে না পারে।
এজন্য আগামী নির্বাচনের আগেই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাধারী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা পকেটে তুলে বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। শেখ হাসিনা ছাত্রদের আন্দোলন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি’ অ্যাখ্যা দিয়ে আত্মসম্মানে আঘাত হানলেন। তখন তারা দেশের মর্যাদা রক্ষায় জীবন দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জেনারেল আজিজ তার খুনি ভাইদের সুরক্ষা দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বেনজীরের মতো আমলারা কেবল ক্ষমতার দাপটে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। গর্ব করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু ছাত্র-জনতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঠিকই দিল্লি পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে হলে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সমান অধিকার দিয়ে সংবিধান করতে হবে। ৭০ এর অনুচ্ছেদ বাতিল করে হাত তোলা এমপির বিধান বাদ দিতে হবে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে হবে।
অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, ইতিহাসবিদ মাহবুব সিদ্দিকী, রাজশাহী জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সচিব জুয়েল রানার, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক প্রমুখ।